Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নীতি জনগণের কল্যাণ সৃষ্টি: শি জিনপিং

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০২২, ৭:৩৫ পিএম

চীনে একটি কথা প্রচলিত আছে: রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নীতি জনগণের কল্যাণ সৃষ্টি করা। এটি ২১০০ বছরের প্রাচীন কথা। অবশেষে এটি চীনের ক্ষমতাসীন পার্টির গঠনতন্ত্রে স্থান পেয়েছে।

গত ১৬ অক্টোবর সিপিসি’র বিংশতম জাতীয় কংগ্রেসে উত্থাপিত কর্ম-প্রতিবেদনে শি জিনপিং বলেছেন, ‘রাষ্ট্র হল জনগণ, জনগণ হল রাষ্ট্র। সিপিসির নেতৃত্বে জনগণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও রক্ষা করে এবং অবশেষে জনগণের মন রক্ষা করে।’ ২০১২ সালে চীনের দরিদ্র জনসংখ্যা ১০ কোটি ছিল। সিপিসি’র শীর্ষনেতা হিসেবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তুমুল শীতে পর্বতাঞ্চলের দুর্গম এলাকায় অবস্থিত লুও থুও ওয়ান গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তিনি পার্টি ও দেশমুখী দারিদ্র্যবিমোচনের নির্দেশনা দিয়েছেন।

কথা বললে তা রাখতে হয় এবং সে জন্য তৎপরতা চালাতে হয়। চীন মানব জাতির ইতিহাসে বৃহত্তম দারিদ্র্যমুক্তির লড়াই চালিয়েছে। দেশটি ৫ লাখেরও বেশি কর্মকর্তাকে দরিদ্র-বিমোচনের লড়াইয়ে সিপিসি’র সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত করেছে এবং ৩০ লাখের বেশি কর্মকর্তাকে গ্রামে মোতায়েন করেছে। ২০২০ সালে চীনা জাতির দীর্ঘকালীন চরম দরিদ্র সদস্যা সমাধান করেছে চীন। জাতিসংঘের এজেন্ডা-২০৩০ লক্ষ্য বাস্তবায়নের ১০ বছর আগে তা সম্পন্ন করেছে।

জনগণের সুন্দর জীবন নিশ্চিত করা সিপিসি’র পরিশ্রমের লক্ষ্য। চীন বিশ্বজুড়ে বৃহত্তম গণজীবিকা নিশ্চিতকরণ নেট তৈরি করেছে। জনগণ বুড়ো, রোগে আক্রান্ত, কর্মচ্যুত, প্রতিবন্ধী ও দরিদ্রসহ নানা সংকটের মুখে ব্যবস্থামূলক নিশ্চয়তা পেয়েছে। চীন বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন করে অবসরপ্রাপ্ত জীবন নিশ্চিত করেছে। ফলে জনগণের আয়ু ২০২১ সালে ৭৮.২ বছরে উন্নীত হয়েছে। করোনা মহামারি সত্ত্বেও ২০২০ ও ২০২১ সালে চীনের মাথাপিছু গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। সূত্র: সিনহুয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ