Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কোটি কোটি টাকার মালিক আদানি কলেজও পাশ করেননি, কেন জানেন?

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০২২, ৭:৩১ পিএম

২০২২ সালের প্রথম থেকেই লাগাতার বেড়েছে আদানির সম্পত্তির পরিমাণ। ফেব্রুয়ারি মাসেই মুকেশ আম্বানিকে টপকে ভারতের ধনীতম ব্যক্তি হয়ে ওঠেন গৌতম আদানি। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশেই ব্যবসা রেয়েছে তার। এ যেন এক রূপকথার উত্থান। আর এই সাফল্যের পিছনে ছিল তার একরোখা জেদ ও অধ্যবসায়।

হিরার ব্যবসায় মন দিতেই রাতারাতি কলেজ ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আদানি। সদ্য প্রকাশিত ‘গৌতম আদানি রিইমাজিনিং বিজনেস ইন্ডিয়া অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ল্ড’ বইয়ে এই তথ্যই তুলে ধরেছেন আর এন ভাস্কর। সেই বইয়ে ভাস্কর জানিয়েছেন, ‘গৌতমভাইয়ের কাছে জীবন মানেই হল রূপান্তর। প্রথমে তিনি নিজে রূপান্তরিত হন। এবং তারপর আশা করতে থাকেন অন্যরাও রূপান্তরিত হবেন। যখন তিনি আরও উন্নতি করলেন, তখন আশা করলেন তার দলের প্রতিটি সদস্য কাজের রিপোর্ট সরাসরি তার কাছেই করবেন।’

আর এই পেশাদারিত্ব শুরু থেকেই ছিল আদানির মধ্যে। জীবনে যখনই কোনও সুযোগ পেয়েছেন, সেই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেছেন। একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময়ই তিনি মুম্বই (তৎকালীন বম্বে) চলে আসেন নিজের স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে। সেই সময় তার সঙ্গে ছিলেন বড়ভাই বিনোদ আদানিও। বিনোদ ছিলেন কাপড়ের হোলসেলার। পরে তিনি হিরার কারবারেও নামেন। তার কাছেই হিরার কাজে হাতেখড়ি হয় গৌতমের।

তিনি দক্ষিণ মুম্বইয়ের এক কলেজে ভরতি হন। সেখানে মাস দুয়েক পড়াশোনাও করেন। বড়ভাইয়ের হিরার কারবারের অফিস ছিল কাছেই। সকালে আদানি যেতেন হিরার মার্কেটে। সেখানে হিরার নানা খুঁটিনাটি কাজ শিখতে থাকেন। এই ভাবে ধীরে ধীরে ব্যবসায় মন দিয়ে ফেলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে আদানি ক্রমেই বুঝতে পারছিলেন কলেজের পড়াশোনা তার পক্ষে আর হয়তো চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। শেষ পর্যন্ত কলেজে ভরতি হওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন পূর্ণ সময়ের হিরা ব্যবসায়ী হওয়ার।

আর এপ্রসঙ্গে আর এন ভাস্করের দাবি, ‘গৌতমভাই অত্যন্ত সৌভাগ্যবান ছিলেন যে প্রথাগত পড়াশোনা করতে হয়নি তাকে। তাহলে তিনি শেষ পর্যন্ত পরামর্শদাতা হয়েই থেকে যেতেন, উদ্যোগপতি হতে পারতেন না।’ সূত্র: টাইমস নাউ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ