গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে এককভাবে ৩০০ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বীতার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ লিখিত বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন। প্রেস ব্রিফিয়ে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী। এতে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুর রহমান, মুফতী তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা আবুল কাশেম, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কাইয়্যুম, মাওলানা আব্দুল হাই ফারুকী, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা জিয়াউল হক মজুমদার, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ফারুক আহমদ, দফতর সচিব মাওলানা রিয়াজতুল্লাহ, আইন বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মীর হেদায়েতুল্লাহ গাজী, নির্বাহী সদস্য মুফতী আবুল খায়ের বিক্রমপুরী, মুফতী আরিফ ইসমাঈল, মুফতী খোরশেদ আলম ও মাওলানা আনছারুল হক ইমরান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ইসলামী ঐক্যজোট ইসলামী সংস্কৃতির ধারক, নৈতিকতার শিক্ষা ও রাজনৈতিক চর্চার একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফরম। ইসলামী ঐক্যজোট একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভের পর ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রতিটি অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এবং জনগণের অকুণ্ঠ ভালোবাসা পেয়েছে।
ইসলামী ঐক্যজোট বর্তমানে কোনো জোটের অন্তর্ভুক্ত নয়। অতীতেও ইসলামী ঐক্যজোটের বিজয়ী নেতৃবৃন্দ সংসদ সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আমরা আশা করছি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হবে। সে ধারাবাহিকতায় আগামী নির্বাচনে ইসলামী ঐক্যজোট এককভাবে ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচনি প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সারাদেশে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম ইতোমধ্যে গতিশীল করা হয়েছে।
সরকারের গৃহীত জনকল্যাণকর পদক্ষেপসমূহকে আমরা সাধুবাদ জানাই কিন্তু সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের পক্ষে না যায় আমরা সবসময়ই তার সমালোচনা করেছি এবং এই প্রতিবাদের ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
এতে আরো বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক পদ্ধতি হিসেবে ইভিএম প্রযুক্তি চলমান। কিন্তু দেশের জনগণের একটি অংশ ইভিএমে ভোটদানে অভ্যস্ত না হওয়ায় তাদের মধ্যে একটি শঙ্কা কাজ করছে। আমরা বলতে চাই, বাংলাদেশ এখন তথ্য প্রযুক্তি ও শিক্ষায় অনেক এগিয়েছে। তাই জীবনযাত্রা ও শিক্ষার মানোন্নয়নের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ইভিএমেও ভোট হতে পারে। তবে নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই ইভিএম নিয়ে জনগণের শঙ্কা কাটানোর লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রয়াস চালাতে হবে।
নিত্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী এবং কর্মসংস্থান সীমিত হয়ে আসছে। সরকার সঙ্কট সামাল দিতে পণ্যমূল্য নির্ধারণ করে দিলেও স্বার্থান্বেষী মহল তা না মেনে বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোট টাকা। যার শিকার হচ্ছে দেশের আপামর সাধারণ জনগণ। বাজারকে সহনীয় করতে হলে সরকারকে অবশ্যই কৃত্রিম সঙ্কট তৈরিকারী সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের মূল্য সহনীয় করতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, ইসলামী ঐক্যজোট বর্তমানে কোন জোটের সাথে সম্পৃক্ত নয় এবং জোটমুখী হওয়ার কোন পরিকল্পনাও আমাদের নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।