নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ফুটবল ইতিহাসের দ্বিতীয় মুসলিম ফুটবলার হিসেবে ব্যালন ডি’অর জিতলেন করিম মুস্তাফা বেনজেমা। আর দুই যুগ পর আবারও এই পুরস্কার জিতলেন কোনো ফ্রেঞ্চ ফুটবলার।
ব্যালন ডি’অরের ৬৬ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয়। ফরাসি ফুটবলেও দ্বিতীয়। আর রিয়াল মাদ্রিদের বেলায় প্রথম। একজন মুসলিম ফুটবলার হিসেবে করিম মুস্তাফা বেনজেমার হাতে উঠল বিশ্বসেরা ফুটবলারের তকমা।
ক্যারিয়ারের ৩৪ বছর বয়সে বিশ্বসেরার তকমা পাবেন, তা হয়তো নিজেও স্বপ্নেও কল্পনা করেননি বেনজেমা। রোনালদো যুগে রিয়াল মাদ্রিদে ছিলেন তার ছায়ায় ঢাকা। তবে ক্রিস্টিয়ানো স্পেন ছাড়লে আবারো ঝলক দেখাতে শুরু করেন তিনি। বলা যায় এই মাদ্রিদের প্রাণভ্রমরা করিম বেনজেমাই।
অসাধারণ একটা সময় কাটানো বেনজেমা রয়্যাল-হোয়াইট জার্সিতে গত মৌসুমে ৪৬ ম্যাচে করেছেন ৪৪ গোল। এই ফর্ম রিয়াল মাদ্রিদকে এনে দিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর লা লিগা মিলিয়ে জোড়া শিরোপা।
বেনজুর সোশ্যাল সাইটে যারা ঢুঁ মারেন, তারা জনেন মুসলিম অনুশাসন কতটা মানেন তিনি। রমজান থেকে শুরু করে ঈদ, কিংবা অন্য কোন আচার অনুষ্ঠান। সবকিছুই বেনজেমা পালন করেনে পুরোরপুরি ধর্মীয় রীতি অনুসারে।
ব্যালন ডি'অরজয়ী প্রথম মুসলিম ফুটবলার জিনেদিন ইয়াজিদ জিদান। ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে বিশ্বসেরার পুরস্কার জেতেন। ঠিক তার দুই যুগ কর ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বে আবারও কোনো মুসলমান। অবশ্য সংখ্যাটা হতে পারত তিন। লাইবেরিয়ান ফরোয়ার্ড জর্জ উইয়াহ ১৯৯৫ সালে এসি মিলানকে করেছিলেন চ্যাম্পিয়ন। জিতেছিলেন সে বছরের ব্যালন ডি'অর। ১৯৮৯ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন তিনি। অবশ্য ১৯৯৪ সালে ফের খ্রিস্টীয় ধর্মবিশ্বাসে ফিরে যান লাইবেরিয়ার ২৪তম রাষ্ট্রপ্রধান উইয়াহ।
এবারের ব্যালন ডি'অরে বেনজেমা ছাড়াও আরো দুই মুসলিম ফুটবলার ছিলেন আলোচনায়। গত মৌসুমে লিভারপুলে খেলা সেনেগালিজ ফরোয়ার্ড সাদিও মানে দেশকে জিতিয়েছেন আফ্রিকা কাপ অফ নেশন। খেলেছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। যেখানে পরাজিত হন করিম বেনজেমার রিয়াল মাদ্রিদের কাছেই। তার সাবেক ক্লাবের সতীর্থ মোহামেদ সালাহও ছিলেন আলোচনায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।