মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রুশ মহাকাশচারি আনা কিকিনা এখন মহাকাশের পথে। গত ২০ বছরে প্রথম রুশ মহাকাশচারি হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) যোগ দিতে চলেছেন তিনি। পৃথিবীতে এখন ভয়াবহ এক সংঘাত চলছে। রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে হামলা তীব্রতর করেছে। রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করতে উঠে পড়ে লেগেছে পশ্চিমা বিশ্ব। ঠিক এসময় মহাকাশে বন্ধুত্বের নিদর্শন হয়ে আইএসএসে যোগ দিচ্ছেন কিকিনা। সব জায়গায় রাশিয়া নিষিদ্ধ হলেও আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে এখনো পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে মিলে কাজ করছে তারা।
ডয়চে ভেলের এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, গত ২৫ বছর ধরে মহাকাশে গবেষণা করছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র (আইএসএস)। এই সময়ে একবারও রাশিয়া কেন যুক্তরাষ্ট্র, ক্যানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে- এমন প্রশ্ন ওঠেনি। এমনকি ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পরেও এর প্রভাব পড়েনি মহাকাশে। সেখানে এক হয়ে কাজ করছে দুই পক্ষ।
এর কারণ হচ্ছে, আইএসএস-এর মডিউলটি গড়ে উঠেছে মূলত দুটি অংশ নিয়ে।
এর একটি অংশ তৈরি করেছে রাশিয়া আর অন্যটি তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার তৈরি করা অংশটি পরিচালনা করে রাশিয়া। সেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি করা অংশটি পরিচালনা করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে পশ্চিমা দেশগুলো এ মুহূর্তে কার্যত রাশিয়ার সঙ্গে মিলে কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য। আরেকটি কারণেও আইএসএস থাকলে সেখানে রাশিয়াও থাকবে। মহাকাশকেন্দ্রটি যে কক্ষপথে থেকে খুব দ্রুত বিশ্বের চারিদিকে ঘুরছে তার মূল কৃতিত্ব কিন্তু রাশিয়ার। আইএসএস সেকেন্ডে প্রায় আট কিলোমিটার বেগে, অর্থাৎ ৯ মিলিমিটারের এক বুলেটের চেয়ে ২০ গুণেরও বেশি বেগে ছুটছে। এমনিতে ভেসে থাকার জন্য এই গতি যথেষ্ট। তবে কখনো কখনো হঠাৎ করেই উচ্চতা কমতে থাকে আর তখন আইএসএস-কে পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার উঁচুতে রাখতে গতি অনেকাটা বাড়িয়ে দিতে হয়। ওই অতিরিক্ত গতিটা আসে রাশিয়ার তৈরি মডিউল থেকে।
তবে রাশিয়া এখন এখান থেকে বেড়িয়ে যেতে চায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সেটা চায় না। রাশিয়ার উপরে তাদের নির্ভরশীলতা রয়েছে। গত জুলাইয়ে রুশ রসকসমস-এর প্রেসিডেন্ট ইউরি বরিসভ জানিয়েছিলেন, নিজেদের মহাকাশকেন্দ্র উদ্বোধন করার জন্য রাশিয়া ২০২৪ সালের মধ্যে আইএসএস থেকে সরে আসতে চায়। কিন্তু নাসার প্রশাসক বিল নেলসন জানিয়েছেন, রুশ কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে এমন কোনো সিদ্ধান্তের কথা এখনো তাদের জানায়নি। তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি সিএইচআইপিএস বা চিপস আইন স্বাক্ষর করেছেন। চিপস-এর বিবরণ অনুযায়ী, ২০৩০ সাল পর্যন্ত আইএসএস-এর সঙ্গে কাজ করবে নাসা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।