Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলীসহ ৭ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০২২, ১২:৪৮ পিএম

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আসা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রকৌশলীসহ সাত কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগামী ১৯ ও ২০ অক্টোবর তাদের হাজির হতে বলা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি তাদের কাছে পাঠানো হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তলব করা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ও পদোন্নতি সুবিধা নিয়েছেন।
এদের মধ্যে ঢাকা ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আক্তারুজ্জামান, সহকারী সচিব মৌসুমী খানম ও ডেপুটি চিফ ফাইন্যান্স অফিসার রত্নদ্বীপ বর্মণকে আগামী ২০ অক্টোবর হাজির হতে বলা হয়েছে।
১৯ অক্টোবর তলব হাজির হতে বলা হয়েছে- ঢাকা ওয়াসার পরিচালক (উন্নয়ন) মো. আবুল কাশেম, পরিচালক (কারিগরি) এ কে এম সহিদ উদ্দিন ও কো-অর্ডিনেশন অফিসার শেখ এনায়েত আবদুল্লাহকে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, মো. আবুল কাশেম, এ কে এম সহিদ উদ্দিন, মৌসুমি খান, রত্নদ্বীপ বর্মণ ও শেখ এনায়েত আবদুল্লাহ অবৈধভাবে নিয়োগ পান। পরে শেখ এনায়েত আবদুল্লাহ, মো. কামরুল হাসান ও আক্তারুজ্জামান নিয়ম বহির্ভূতভাবে পদোন্নতি পান।
অন্যদিকে ওয়াসার পদ্মা জশলদিয়া প্রকল্পে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা, গন্ধরবপুর পানি শোধনাগার প্রকল্পে ১ হাজার কোটি টাকা, দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্পে ১ হাজার কোটি টাকা, গুলশান বারিধারা লেক দূষণ প্রকল্পে ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতিসহ আরও কয়েকটি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এর আগে তিনটি ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ৬ প্রতিষ্ঠানের নথিপত্র তলব করে চিঠি দেয় দুদক। তলব করা নথিপত্র আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে সরবরাহের অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে নিয়োগ পান প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। এরপর ধাপে ধাপে সময় বাড়িয়ে তিনি এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। বিতর্কিত তাকসিম এ খানের পুনঃনিয়োগের ক্ষেত্রেও বিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো, ঠিকাদার নিয়োগে সিন্ডিকেট, ঘুষ লেনদেন, পদ সৃষ্টি করে পছন্দের লোককে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, অপছন্দের লোককে ওএসডি করাসহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে।
ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির ১৩২ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা ছয়টি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের প্রত্যক্ষ মদদে ও নির্দেশে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে- এমন অভিযোগে তাকসিম এ খানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়। ওই মামলার তদন্তভার দুদকের হাতে ন্যস্ত হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ