মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চীনের প্রভাব কমাতে এবার মিশরকে পাশে পাচ্ছে ভারত। দুই দেশ যৌথভাবে এই এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে পদক্ষেপ করবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর।
প্রসঙ্গত, প্রথমবার দুই দিনের মিশর সফরে গিয়েছেন তিনি। সেখানকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ সৌখরি-র সঙ্গে একাধিক বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করেন জয়শংকর। তারপরই এই নিয়ে ট্যুইট করেছেন তিনি। সেখানে তিনি লেখেন, ‘এই উপমহাদেশের উন্নয়নের প্রশ্নে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গির আদান-প্রদান হয়েছে।’
জয়শংকরের এই ট্যুইটকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। কারণ ইতিমধ্যেই আফ্রিকাতে নৌসেনা ঘাঁটি তৈরি করেছে চীন। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সমুদ্র বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মিশরের উপর চাপ তৈরি করছে বেইজিং। এই অবস্থায় পালটা আঘাত হানতে ভারতের সঙ্গে হাত মেলাতে মিশর এগিয়ে এসেছে বলে দাবি করেছেন তারা।
ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা ছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকর। টুইটে তিনি লিখেছেন, “দুই মেরুতে ভাগ হয়ে যাওয়া বিশ্বের বর্তমানে মুক্তচিন্তার প্রয়োজন রয়েছে।” জি-২০বা ব্রিকসের মতো একাধিক আন্তর্জাতিক মঞ্চেও ভারত ও মিশর একসঙ্গে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে জয়শংকরের কথার ভূয়সী প্রশংসা করেন মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও। প্রসঙ্গত গত শতাব্দীর ঠান্ডা লড়াইয়ের সময় মিশরের সঙ্গে মিলেই জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন শুরু করেছিল ভারত। প্রথমবার মিশর সফরে গিয়ে সেই প্রসঙ্গও তোলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকর। উল্লেখ্য, ২০২২-এ কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ৭৫ বছর পূর্ণ করল দুই দেশ।
রবিবার মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফতেহ ই সিসি-র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মিশরের প্রেসিডেন্টের হাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লেখা একটি ব্যক্তিগত চিঠিও তুলে দেন তিনি। পরে মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন জয়শংকর। বৈঠক শেষে মিশরের প্রেসিডেন্টের আতিথেয়তার কথা উল্লেখ করে ট্যুইট করেন তিনি।
রবিবার মিশর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে রাজধানী কায়েরোর আল হোরেয়া পার্কে যান জয়শংকর। সেখানে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি। ২০১৯-এ মহাত্মা গান্ধীর জন্ম সার্ধ শতবর্ষে ওই মূর্তিটির আবরণ উন্মোচন করা হয়েছিল। বর্তমানে মিশরে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভারতীয় থাকেন। তাদের অধিকাংশই কায়েরোর বাসিন্দা। এছাড়াও আলেকজান্দ্রিয়া, পোর্ট সেইড ও ইসমালিয়াতেও থাকেন বহু ভারতীয়। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।