মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং আরও দুটি অঞ্চলে "ইরানের তৈরি কামিকাজি ড্রোন" দিয়ে রাশিয়ার চালানো একের পর এক হামলায় জরুরি অবকাঠামো, বিশেষ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায়, বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে। সোমবার ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস সিমাহাল এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, রাজধানী শহর এবং আশপাশের এলাকা ছাড়াও ডেনিপ্রো এবং সুমি অঞ্চলে এসব হামলা হয়। এসব অঞ্চলের শত শত গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ইউক্রেনীয় একজন মন্ত্রী জানিয়েন গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮৫টি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কিয়েভে হামলা হয় স্থানীয় সময় সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে। সর্বশেষ হামলাটি হয়েছে সকাল ৮:১০ মিনিটে।
কিয়েভ থেকে বিবিসির পল অ্যাডামস জানিয়েছেন, নিচু দিয়ে উড়ে আসা ড্রোনের শব্দ ভেসে আসার পরপরই ইউক্রেনের রাজধানী শহরে বিমান বিধ্বংসী অস্ত্রের গুলির শব্দের প্রতিধ্বনি শোনা যায়। দুটো বিস্ফোরণ হয়েছে শহরের কেন্দ্রের খুব কাছে। কিয়েভের প্রধান রেল স্টেশনের কাছে বিস্ফোরণ হয়েছে।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিৎস্কো সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল টেলিগ্রামে লিখেছেন শহরে মোট চারটি হামলা হয়েছে, তবে নগরবাসীরা কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয়টি বিস্ফোরণের কথা জানিয়েছেন। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, সর্বশেষ এসব রুশ ড্রোন হামলায় বেশ কজন মারা গেছে। কমপক্ষে সাতজনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে। কিয়েভে নিহত হয়েছে কমপক্ষে তিনজন।
ইউক্রেনের সরকার এবং পশ্চিমা সূত্রগুলো বলছে এসব ড্রোন রাশিয়া ইরান থেকে পেয়েছে। কিন্তু তেহরান কয়েকবার বলেছে এগুলো মিথ্যা প্রচারণা, ইরান কখনই রাশিয়াকে কোনো ড্রোন দেয়নি।
রাশিয়া বলেছে তাদের সর্বশেষ হামলায় "নির্ধারিত সমস্ত টার্গেটে" আঘাত করা হয়েছে। মস্কো বলছে তাদের লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনের "বিভিন্ন সামরিক কম্যান্ড এবং জ্বালানি অবকাঠামো।"
বন্দর শহর মিকোলাইভে "সুইসাইড ড্রোন হামলায়" সূর্যমুখী তেলের ভর্তি অনেকগুলো ট্যাংকে আগুন ধরে যায়, বলেছেন শহরের মেয়র ওলেকসান্ডার সেনকেভিচ। তিনি জানান, কিয়েভে হামলা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে অর্থাৎ রোববার গভীর রাতের দিকে তিনটি ড্রোন দিয়ে ঐসব তেলের ট্যাংকে হামলা চালানোর পরপরই সেগুলোতে আগুন ধরে যায়। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।