মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় হলেন ভারতের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি। সোমবার বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচ‚ড়কে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে বেছে নিলেন প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু। কেন্দ্রীয় আইন ও বিচারমন্ত্রী কিরেন রিজিজু সোমবার জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু বিচারপতি চন্দ্রচূড়কে পরবর্তী বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করেছেন ৯ নভেম্বর থেকে।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় ১৯৫৯ সালের ১১ নভেম্বর মুম্বইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা যশবন্তবিষ্ণু চন্দ্রচ‚ড়ও ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি দেশের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। এখনও পর্যন্ত তিনিই ছিলেন ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধান বিচারপতি। ১৯৮২ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক হন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। হার্ভার্ড থেকেই আইন নিয়ে গবেষণাও করেন।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই চন্দ্রচূড় শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসাবে কাজ শুরু করেন। ১৯৯৮ সালে চন্দ্রচূড় বম্বে হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হন। দু’বছর পর বম্বে হাইকোর্টেরই বিচারপতি নিযুক্ত হন তিনি।
১৯৯৮ সালে চন্দ্রচূড় বম্বে হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হন। দু’বছর পর বম্বে হাইকোর্টেরই বিচারপতি নিযুক্ত হন তিনি। এরপর ২০১৩ সালে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন চন্দ্রচূড়। ২০১৬ সালের ১৩ মে নিযুক্ত হন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে। দেশের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের দায়িত্বও তিনি সামলান।
রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার জন্য সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চেও ছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। এই বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। ২০১৯-এর ৯ নভেম্বর দেশের সবচেয়ে বিতর্কিত মামলার রায় দিয়ে ইতিহাস রচনা করেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে বাবার দেওয়া রায়কেও খন্ডন করেছিলেন চন্দ্রচ‚ড়। বাবার ঘোষণা করা রায়ে ‘গুরুতর খামতি’ ছিল বলেও মন্তব্য করেন চন্দ্রচূড়। ২০১৮ সালেও বাবার দেওয়া অন্য একটি রায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। ১৯৮৫ সালে বিচারপতি চন্দ্রচ‚ড়ের বাবা প্রাক্তন বিচারপতি ওয়াইভি চন্দ্রচূড় বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ককে ‘অসাংবিধানিক’ বলেছিলেন।
২০০৮ সালে তার বাবা মারা যান। এর এক বছর আগে মারা যান স্ত্রী রশ্মিও। এর কয়েক বছর পর মুম্বাইয়ে নিজ বাসভবনে ব্যক্তিগত পরিসরে ফের বিয়ে করেন তিনি। বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের দুই সন্তান। তবে তাঁদের মধ্যে কেউই আইনের প্রতি আগ্রহী নন। তার দুই সন্তানের এক জন লেখক। সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।