মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সিনেটর সিমন তিবেত। অখ্যাত এক নারী। জাতীয় রাজনীতিতে যার নামগন্ধও ছিল না এতদিন। দুই বছর আগেও যাকে কেউ চিনত না। সেই ‘নবাগতা’ই এখন ব্রাজিলের ‘শিরোমণি’। নিজের ঝুলিতে থাকা তার ৪.২ শতাংশ ভোটই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের ‘ভাগ্যবিধাতা’। খুবই অল্প হলেও ভোটের হিসাবে তা ৪৯ লাখ। ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো ও বামপন্থি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা উভয়ের দৃষ্টিই এখন তিবেতের দিকে। দুই প্রতিন্দ্বীর ভোট দূরত্ব ৬.১ মিলিয়ন (৬১ লাখ)। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে শেষপর্যন্ত তিবেতের সমর্থনই নতুন পথের সূচনা করবে ব্রাজিলে। ২৯ আগস্ট প্রথম জনগণের নজরে পড়েন ৫২ বছর বয়সি তিবেত। প্রচারণার অংশ হিসাবে এদিন এক টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নেন তিনি। ডানপন্থি বলসোনারো ও বামপন্থি লুলার পাশে দাঁড়িয়ে সেদিনই পুরো ব্রাজিলকে চমকে দেন তিবেত। বিতর্কে বলসোনারো এক নারী সাংবাদিককে অপমান করলে তাৎক্ষণিক তার প্রতিবাদ করে বসেন। প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর দিকে তর্জনি উঁচিয়ে বলেন, ‘আমি তাকে ভয় পাই না।’ এই এক কথাতেই মানুষের মুখে মুখে শক্তিশালী ভাবমর্যাদা তৈরি হলো তার। নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৪ দশমিক ২ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানও দখল করে নিলেন। যেখানে লুলা পায় ৪৮ শতাংশ। বলসোনারো ৪৩ শতাংশ। কিন্তু দেশটির সংবিধান অনুসারে কেউই ৫০ শতাংশ ভোট লাভ করতে পারেননি। এখন অপেক্ষা ৩০ অক্টোবরের দ্বিতীয় পর্বের ভোট। প্রাথমিকভাবে সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলাকেই সমর্থন করছেন তিবেত। আলোচিত এই ক্যাথলিক নারীর জন্ম ব্রাজিলের ট্রেস লাগোস শহরে। তিনি একই সাথে রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। এক লাখ ২৫ হাজার জনসমৃদ্ধ এ শহরে ২০০৫-২০১০ সাল পর্যন্ত মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ব্রাজিলের পশ্চিম-মধ্য রাষ্ট্র যা মাটো গ্রসো সুলে অবস্থিত। কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক অঞ্চল। দুই কন্যাসন্তানের জননী তিবেত এখানকারই এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। করোনা মহামারি দুর্নীতি তদন্তের দায়িত্বে থাকা কংগ্রেসনাল কমিটির অনুসন্ধানেও তিবেত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। নিজ প্যানেলে থাকা বলসোনারোর মিত্রদের জোরালো কণ্ঠে প্রতিহত করেন। তবে পরিচিতির তুঙ্গে উঠে যান এ বছর তার প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থিতার মাধ্যমে। আর প্রথম দফার ভোটের পর অবস্থা এমন যে, ডান-বামের জয়-পরাজয়ের নাটাই এখন তার হাতে। সাওপাওলো অঞ্চলের গেটুলিও ভার্গাস ফাউন্ডেশনের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের অধ্যাপক মার্কো অ্যান্তিনিও টেক্সিরা বলেন, ‘তিবেত একটি শূন্য উপহ্রদ পূরণ করেছেন। তিনি সাফল্য অর্জন করেছেন কারণ তিনি কেবল দ্বন্দ্বের খোঁজ না করে বলসোনারো ও ওয়ার্কার্স পার্টির মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ সমালোচনা করেছেন।’ রাষ্ট্রপতি বিতর্কে তিনি বলসোনারোকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এবং নারীদের শ্রদ্ধা করতে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি রাষ্ট্রপতির মন্তব্যে যৌনবাদীপ্রবণতা রয়েছে বলেও মনে করেছিলেন। এসবই তিবেতকে সহায়তা করেছিল সিরো কেন্দ্র বাম প্রার্থী সিরো গোমেজকে পেছনে ফেলে তৃতীয় স্থান দখল করতে। রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।