নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটকে চমকে দিয়েছে নামিবিয়া। প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচটিও ছড়াল রোমাঞ্চ। ভিক্টোরিয়ার জিলংয়ে লো স্কোরিং ‘থ্রিলারে’ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দেওয়া ১১২ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে, মাঝে ৫ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নেদারল্যান্ডস। তবে অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে, ১ বল ও ৩ উইকেট হাতে রেখে ডাচদের জয় নিশ্চিত করেন।
প্রথম ম্যাচের মতোই উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লেগেছে দুই দলের। রান তাড়া করতে নেমে ভালো শুরুর পর সহজ জয়ের পথেই ছিল ন্যাদারল্যান্ডস। টানা দুই চার মেরে ভালো শুরুর আভাস দেন বিক্রমজিত সিং। তবে পরের ওভারে বাসিল হামিদের বলে সøগ করতে গিয়ে বোল্ড হয় বাঁহাতি এই ব্যাটার। এরপর নেদারল্যান্ডসের রান বাড়াতে থাকেন ম্যাক্স ও’ডাওড। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে তাকে ফেরান জুনায়েদ সিদ্দিকী। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ডানহাতি এই ব্যাটার আউট হয়েছেন ১৮ বলে ২৩ রান করে।
তিন নাম্বারে নামা বাস ডি লিড আউট হয়েছেন ১৮ বলে ১৪ রান করে। চারে নামা কলিন অ্যাকারম্যান খেলেছেন ১৯ বলে ১৭ রানের ইনিংস। ৭১ থেকে ৭৬ রানে পৌঁছানোর পথে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ডাচরা। এরপর সপ্তম উইকেটে টিম প্রিঙ্গেলকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন এডওয়ার্ডস। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ২৭ রান। প্রিঙ্গেল যখন আউট হন তখন জয় থেকে মাত্র ৯ রান দূরে তারা, হাতে বল ছিল সম পরিমাণ। ১ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১১২ রানে পৌঁছে যায় ডাচরা। এডওয়ার্ডস অপরাজিত ছিলেন ১৬ রানে। কাপ্তানকে সপ্তম উইকেট সঙ্গে দেয়া প্রিঙ্গেল আউট হয়েছিলেন ১৫ রানে। আরব আমিরাতের হয়ে জুনায়েদ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। ১৬ বছরের তরুণ আয়ান খানও পান ১টি উইকেট।
আগে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিধান্ত নিয়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাত অধিনায়ক সিপি রিজওয়ান। টসের সময় তিনি ‘রান তাড়া কঠিন’ হবে বলে জানান। তবে আগে ব্যাট করে সুবিধা করতে পারেনি তারা। ইনিংসের কোনো পর্যায়েই মনে হইয়নি বর পুঁজি পাবে তারা। শুরুতে সতর্ক থেকে উইকেট হাতে রেখে ডেথ ওভারে গিয়েছিল আরব আমিরাত, তবে ইনিংসের শেষ পর্যায়ে নেমেছে ধস।
পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট না হারালেও ৩১ রানের বেশি তুলতে পারেননি দুই ওপেনার চিরাগ সুরি ও মুহাম্মদ ওয়াসিম। নেদারল্যান্ডসকে প্রথম উইকেট এনে দেন রোলফ ফন ডার মারওয়ে। সুইচ হিট করতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ধরা পড়েন ২০ বলে ১২ রান করা সুরি। তার উইকেটের পর নিজেদের আরও খোলসের ভেতর ঢুকিয়ে নেন ওয়াসিম ও কাশিফ দাউদ। ১১তম ওভারে প্রিঙ্গল ফেরান দাউদকে, ১৬তম ওভারে গিয়ে ফ্রেড ক্লাসেনের বলে ক্যাচ দেন ৪৭ বলে ৪১ রান করা ওয়াসিম। সে সময় আরব আমিরাতের রান ছিল ৯১। পরের ২৪ বলে ২০ রান করতে আরও ৫ উইকেট হারায় তারা। শেষ পর্যন্ত ৮ উাইকেট হারিয়ে ১১১ রানের ছোট পুঁজি পায় আরব আমিরাত। ডাচদের হয়ে ডি লিড তিনটি এবং ফ্রেড ক্লাসেন নিয়েছেন দুটি উইকেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।