মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ক্ষুধার রাজ্যে আরো পতন ভারতের। বিশ্ব ক্ষুধা সূচক (গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স বা জিএইচআই) বলছে, ২০২২-এ বিশ্বের ১২১টি দেশের মধ্যে ভারত রয়েছে ১০৭তম স্থানে। গত বছর, এই তালিকায় ভারতের স্থান ছিল ১০১। অর্থাৎ, এক বছরের মধ্যে ভারত ক্ষুধাসূচকে নেমেছে অনেকটাই।
শনিবার প্রকাশিত জিএইচআই বলছে, ভারতের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থায় রয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান। এমনকি নেপাল, বাংলাদেশের অবস্থানও ভারতের চেয়ে অনেকটাই ভালো।
চীন, তুরস্ক, কুয়েতসহ ১৭টি দেশ রয়েছে এই তালিকার একেবারে উপরে। তাদের সকলেরই ‘স্কোর’ পাঁচের কম। শনিবার এমনই জানিয়েছে বিশ্ব খাদ্য সূচকের তালিকা। এই তালিকা তৈরি হয় মূলত ক্ষুধা এবং অপুষ্টির সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।
এ বছর ভারত ১০৭তম স্থানে রয়েছে। প্রতিবেশী নেপাল রয়েছে ৮১ নম্বর স্থানে, পাকিস্তান ৯৯তম এবং বাংলাদেশ রয়েছে ৮৪ নম্বর স্থানে। উপমহাদেশে সবচেয়ে ভালো অবস্থা শ্রীলঙ্কার। তারা রয়েছে ৬৪ নম্বর স্থানে।
গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সের রিপোর্টটি যৌথভাবে তৈরি করে আইরিশ সংগঠন ‘কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ এবং জার্মান সংস্থা ‘ওয়েল্ট হাঙ্গার হিল্ফে’।
এই তালিকা তৈরির সময় পরিস্থিতি বিবেচনা করে পাঁচটি স্তর রাখা হয়। যে দেশে ক্ষুধার পরিমাণ সবচেয়ে কম সেই দেশ ‘ভালো’ স্তরে জায়গা পায়। এর পর আছে মাঝারি, উদ্বেগজনক, ভীতিপ্রদ এবং অত্যন্ত ভীতিপ্রদ। জিএইচআই এবারের রিপোর্ট প্রকাশ করার সময় জানিয়েছে, ভারতে সামগ্রিক ক্ষুধার অবস্থা উদ্বেগজনক স্তরে।
ভারতের এই ক্রমাপতন দেখে মোদি সরকারকে আক্রমণ করেছে বিরোধী কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা তথা সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম টুইটে লিখেছেন, ‘২০১৪ থেকে গত ৮ বছরে মোদি সরকারের রাজত্বে আমাদের অবস্থা খারাপ থেকে খারাপতর হয়েছে।
২০২১-এ ১১৬টি দেশের মধ্যে ভারত ছিল ১০১ নম্বরে। এ বার তালিকায় রয়েছে ১২১টি দেশ। ভারত সেই তালিকায় ১০১ থেকে নেমে হয়েছে ১০৭।
একই সাথে ভারতের স্কোরও ক্রমান্বয়ে কমেছে। ২০০০-এ ভারতের স্কোর ছিল ৩৮.৮। ২০১৪ থেকে ২০২২ এবং মধ্যে তা কমে হয়েছে ২৮.২ থেকে ২৯.১ এর মধ্যে। এ বছর ভারতের স্কোর ২৯.১।
গত বছর জিএইচআইয়ের রিপোর্টের তীব্র সমালোচনা করেছিল ভারত সরকার। এই রিপোর্টকে জঘন্য এবং বাস্তবের সঙ্গে সম্পর্কহীন বলে অভিহিত করে খারিজ করেছিল মোদি সরকার।
মোদি সরকারের দাবি ছিল, এই ধরনের সমীক্ষায় যে পদ্ধতি (মেথডোলজি) ব্যবহার করা হয় তা ভারতের মতো বিরাট বৈচিত্রপূর্ণ দেশের ক্ষুধা পরিমাপের ক্ষেত্রে অবৈজ্ঞানিক।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্ষুধা পরিমাপের জন্য জাতিসঙ্ঘ ‘ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন’ বা এফএওর পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যে পদ্ধতিকেই অবৈজ্ঞানিক বলে দাবি করেছে ভারত সরকার।
ভারত সরকারের দাবি ছিল, অপুষ্টি মাপার উপায় হলো ওজন এবং উচ্চতা মাপা। কিন্তু এফএও পদ্ধতিতে টেলিফোনে জিজ্ঞেস করেই কাজ সারা হয়। যা সঠিক মাত্রার সন্ধান দিতে পারে না। তাই কেবলমাত্র পাটিগণিতের হিসাব কষে ভারতের মতো বিপুল বৈচিত্রপূর্ণ দেশে ক্ষুধার পরিমাপ করা সম্ভব নয়।
২০১৯ থেকে ২০২১-এর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ভারতের জনসংখ্যার ১৬.৩ শতাংশই অপুষ্টির শিকার। গত তিন বছর ধরে ভারত জিএইচআই তালিকায় ক্রমশ পিছিয়েছে ভারত। ২০২০-তে ভারত ছিল ৯৪ তম স্থানে, ২০২১-এ ১০১তম স্থানে। এবার আরো পিছিয়ে ১০৭তম স্থানে।
জিএইচআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, তালিকার একে বারে শেষে রয়েছে ইয়েমেন। রিপোর্ট বলছে, ২০২১-এ গোটা পৃথিবীতে ৮২ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছেন। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।