Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্ষুধার রাজ্যে বিশ্ব, ভারতের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, বাংলাদেশ ৮৪ পাকিস্তান ৯৯

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০২২, ১০:৫৩ এএম

ক্ষুধার রাজ্যে আরো পতন ভারতের। বিশ্ব ক্ষুধা সূচক (গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স বা জিএইচআই) বলছে, ২০২২-এ বিশ্বের ১২১টি দেশের মধ্যে ভারত রয়েছে ১০৭তম স্থানে। গত বছর, এই তালিকায় ভারতের স্থান ছিল ১০১। অর্থাৎ, এক বছরের মধ্যে ভারত ক্ষুধাসূচকে নেমেছে অনেকটাই।

শনিবার প্রকাশিত জিএইচআই বলছে, ভারতের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থায় রয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান। এমনকি নেপাল, বাংলাদেশের অবস্থানও ভারতের চেয়ে অনেকটাই ভালো।

চীন, তুরস্ক, কুয়েতসহ ১৭টি দেশ রয়েছে এই তালিকার একেবারে উপরে। তাদের সকলেরই ‘স্কোর’ পাঁচের কম। শনিবার এমনই জানিয়েছে বিশ্ব খাদ্য সূচকের তালিকা। এই তালিকা তৈরি হয় মূলত ক্ষুধা এবং অপুষ্টির সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।

এ বছর ভারত ১০৭তম স্থানে রয়েছে। প্রতিবেশী নেপাল রয়েছে ৮১ নম্বর স্থানে, পাকিস্তান ৯৯তম এবং বাংলাদেশ রয়েছে ৮৪ নম্বর স্থানে। উপমহাদেশে সবচেয়ে ভালো অবস্থা শ্রীলঙ্কার। তারা রয়েছে ৬৪ নম্বর স্থানে।

গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সের রিপোর্টটি ‌যৌথভাবে তৈরি করে আইরিশ সংগঠন ‘কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ এবং জার্মান সংস্থা ‘ওয়েল্ট হাঙ্গার হিল্ফে’।

এই তালিকা তৈরির সময় পরিস্থিতি বিবেচনা করে পাঁচটি স্তর রাখা হয়। যে দেশে ক্ষুধার পরিমাণ সবচেয়ে কম সেই দেশ ‘ভালো’ স্তরে জায়গা পায়। এর পর আছে মাঝারি, উদ্বেগজনক, ভীতিপ্রদ এবং অত্যন্ত ভীতিপ্রদ। জিএইচআই এবারের রিপোর্ট প্রকাশ করার সময় জানিয়েছে, ভারতে সামগ্রিক ক্ষুধার অবস্থা উদ্বেগজনক স্তরে।

ভারতের এই ক্রমাপতন দেখে মোদি সরকারকে আক্রমণ করেছে বিরোধী কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা তথা সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম টুইটে লিখেছেন, ‘২০১৪ থেকে গত ৮ বছরে মোদি সরকারের রাজত্বে আমাদের অবস্থা খারাপ থেকে খারাপতর হয়েছে।

২০২১-এ ১১৬টি দেশের মধ্যে ভারত ছিল ১০১ নম্বরে। এ বার তালিকায় রয়েছে ১২১টি দেশ। ভারত সেই তালিকায় ১০১ থেকে নেমে হয়েছে ১০৭।

একই সাথে ভারতের স্কোরও ক্রমান্বয়ে কমেছে। ২০০০-এ ভারতের স্কোর ছিল ৩৮.৮। ২০১৪ থেকে ২০২২ এবং মধ্যে তা কমে হয়েছে ২৮.২ থেকে ২৯.১ এর মধ্যে। এ বছর ভারতের স্কোর ২৯.১।

গত বছর জিএইচআইয়ের রিপোর্টের তীব্র সমালোচনা করেছিল ভারত সরকার। এই রিপোর্টকে জঘন্য এবং বাস্তবের সঙ্গে সম্পর্কহীন বলে অভিহিত করে খারিজ করেছিল মোদি সরকার।

মোদি সরকারের দাবি ছিল, এই ধরনের সমীক্ষায় যে পদ্ধতি (মেথডোলজি) ব্যবহার করা হয় তা ভারতের মতো বিরাট বৈচিত্রপূর্ণ দেশের ক্ষুধা পরিমাপের ক্ষেত্রে অবৈজ্ঞানিক।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্ষুধা পরিমাপের জন্য জাতিসঙ্ঘ ‘ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন’ বা এফএওর পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যে পদ্ধতিকেই অবৈজ্ঞানিক বলে দাবি করেছে ভারত সরকার।

ভারত সরকারের দাবি ছিল, অপুষ্টি মাপার উপায় হলো ওজন এবং উচ্চতা মাপা। কিন্তু এফএও পদ্ধতিতে টেলিফোনে জিজ্ঞেস করেই কাজ সারা হয়। যা সঠিক মাত্রার সন্ধান দিতে পারে না। তাই কেবলমাত্র পাটিগণিতের হিসাব কষে ভারতের মতো বিপুল বৈচিত্রপূর্ণ দেশে ক্ষুধার পরিমাপ করা সম্ভব নয়।

২০১৯ থেকে ২০২১-এর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ভারতের জনসংখ্যার ১৬.৩ শতাংশই অপুষ্টির শিকার। গত তিন বছর ধরে ভারত জিএইচআই তালিকায় ক্রমশ পিছিয়েছে ভারত। ২০২০-তে ভারত ছিল ৯৪ তম স্থানে, ২০২১-এ ১০১তম স্থানে। এবার আরো পিছিয়ে ১০৭তম স্থানে।

জিএইচআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, তালিকার একে বারে শেষে রয়েছে ইয়েমেন। রিপোর্ট বলছে, ২০২১-এ গোটা পৃথিবীতে ৮২ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছেন। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা



 

Show all comments
  • Rumman zakir ১৭ অক্টোবর, ২০২২, ১১:৪৩ এএম says : 0
    তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয় দুর্ভিক্ষের কথা ভুল কি বলেছেন...!?
    Total Reply(0) Reply
  • Anwarul kalam ১৭ অক্টোবর, ২০২২, ১০:৩৮ এএম says : 0
    খুব খারাপ লাগে মানুষ ক্ষুধার্ত আছে জানলে, ভারতীয় মানুষ কারনে অকারনে আমাদের নীচু দেখানোর চেস্টা করে তবুও কামনা করি ভারতের শিশুগুলো যেন অভুক্ত না থাকে ওরা যেন সুন্দর ক্ষুধামুক্ত পৃথিবীতে বাস করতে পারে আমাদের আন্ডার প্রিভিলেজড শিশুদের জন্য ও একই প্রার্থনা।
    Total Reply(0) Reply
  • হাসান তারেক ১৮ অক্টোবর, ২০২২, ১১:৪৫ এএম says : 0
    আমাদের প্রধানমন্ত্রী তাহলে যথাযথই বলেছেন।এখনই উপযুক্ত সময় আমাদের দূভিক রোধে প্রয়জনীয় ব্যাবস্তা নেওয়া। এজন্য কোনো ভুমি পতিত রাখা যাবে না। খাদ্যের অভাব রোধে এখনই উৎপাদন বৃদ্দি পয়েজন।
    Total Reply(0) Reply
  • s.k.datta ১৭ অক্টোবর, ২০২২, ১১:৩৪ এএম says : 0
    "উপমহাদেশে সবচেয়ে ভালো অবস্থা শ্রীলঙ্কার নম্বর ৬৪"। সমীক্ষা পদ্ধতিটা কি বিশ্বাস করা যায়?
    Total Reply(0) Reply
  • হাসান তারেক ১৮ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০৭ পিএম says : 0
    আমাদের প্রধানমন্ত্রী তাহলে যথাযথই বলেছেন।এখনই উপযুক্ত সময় আমাদের দূভিক রোধে প্রয়জনীয় ব্যাবস্তা নেওয়া। এজন্য কোনো ভুমি পতিত রাখা যাবে না। খাদ্যের অভাব রোধে এখনই উৎপাদন বৃদ্দি পয়েজন।
    Total Reply(0) Reply
  • রানা ১৭ অক্টোবর, ২০২২, ৮:৫৯ এএম says : 0
    আমদের এই একটা সমস্যা নিজের টা সমাধান না করে আরেকজনের তেল মারি
    Total Reply(0) Reply
  • hassan ১৯ অক্টোবর, ২০২২, ১১:৪১ এএম says : 0
    আজ 50 বছর হল দেশ স্বাধীন করেছিল করেছি কিন্তু দেশ কোরআন দিয়ে শাসিত হলো না যারা শাসন করে আসছেন তারা হচ্ছে দেশদ্রোহী দুর্নীতিবাজ খুনি এরা জানে না কিভাবে দেশ উন্নতি করতে হয় আমাদের দেশের কোনো অবকাঠামো নেই নদী নালা খাল বিল ভরাট করে সব সরকারের লোকজন বাড়িঘর যা ইচ্ছে তাই তৈরি করেছে শস্য ক্ষেতের মধ্যে ইটভাটা তৈরি করেছে ইট তৈরি করতে গেলে মাটির উপরের মাটি ব্যবহার করতে হয় আমাদের দেশের অবকাঠামো ঠিক হলে কৃষিতে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতাম শুধু তাই নয় আমরা আমাদের দেশের যত কিছু দরকার সবকিছু উৎপাদন করতে পারতাম যেমন ট্রেন প্লেন বাস গাড়ি বিদ্যুৎ যত ধরনের যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করতে পারতাম কিন্তু দেশদ্রোহী আল্লাহ সরকার দেশটাকে একদম ধংস করে দিয়েছে আমরা এখন ক্ষুধা হাই মরছি বিদ্যুৎ বিভ্রাট 4 ঘন্টা ধরে ঢাকার মধ্যেই লোডশেডিং হচ্ছে আর এরা আমাদের ট্যাক্সের টাকায় রাজা রানীর মত বসবাস করছে সব জিনিসের দাম বেড়েছে কোটি কোটি মানুষ এখন না খেয়ে দেয়ে আছে পথশিশু আছে প্রায় 10 থেকে 15 লক্ষ রাস্তায় থাকে হাজার হাজার মানুষ লক্ষ্য লক্ষ্য শিশুরা কাজ করে আরে দেশদ্রোহী মানবতা শত্রু এরা আমাদের দেশটাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে | ইন্ডিয়ার কাছে দেশটাকে পরাধীন করে দিয়েছে ইন্ডিয়া যা ইচ্ছে তাই করছে আমাদের দেশে আমাদের দেশের লোক বেকার আর ইন্ডিয়ার লক্ষ লক্ষ লোক এদেশে এসে চাকরি করে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে ইন্ডিয়া ব্যবসা করে যাচ্ছে আমাদের সাথে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আমাদেরকে কোন জিনিসপত্র তারা আমদানি করতে চায় না
    Total Reply(0) Reply
  • নুরুল আমিন ১৬ অক্টোবর, ২০২২, ৬:১০ পিএম says : 0
    অন্যের বিরোধিতা তর্কের ক্ষাতিরে নয়, সত্য আউড়িয়ে স্বাবলম্বি হতে হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • নুরুল আমিন ১৬ অক্টোবর, ২০২২, ৬:১২ পিএম says : 0
    আসুন নিজে সাবধান হই অন্যকে সাহায্য করি, যদি পারি।।।
    Total Reply(0) Reply
  • Rabiul Islam ১৮ অক্টোবর, ২০২২, ৭:০৯ এএম says : 0
    জাতিসংঘে বেশির ভাগ দেশ যেহেতু আমেরিকার প্রভাবে রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে , তাই রাশিয়ারও উচিত নয় গরিব দেশগুলির দুর্ভিক্ষ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার ! ইরাক ও লিবিয়া ও হাইতিতে মার্কিন আগ্রাসনের সময় এই জাতিসংঘ ও বিশ্ব জনমত কোথায় ছিল ? তারা কি তাদের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চেয়েছে ? জাতিসংঘ তো পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের আজ্ঞাবহ একটি ক্লাব ! এই জাতিসংঘ থেকেও বা কি হবে না থেকেও বা কি হবে ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ