গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
পুলিশকে টার্গেট এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য মিরপুর ও পল্লবী ট্রাফিক পুলিশ বক্সে পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।। তিনি বলেন, অতর্কিত হামলা করে পুলিশের মনোবল ভাঙ্গা যাবে না।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মিরপুর ও পল্লবী ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাংচুর ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ।
একই দিন বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তাররা হলো- মো. জনি ইসলাম, মো. রাসেল মিয়া, মো. সুরুজ, মো. আক্তার, মো. শমসের উদ্দিন, মো. রনি, মো. কালিম, মো. মাসুদ রানা ও মো. সাম।
হারুন অর রশীদ বলেন, গতকাল শুক্রবার মিরপুর ও পল্লবী থানা এলাকা দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ নিষিদ্ধ ব্যাটারি চালিত রিক্সা চালানো বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ পালনের সময় কিছু উশৃঙ্খল রিক্সাচালক অবৈধ জনতা ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাংচুর ও কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানা ও পল্লবী থানায় মামলা হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ট্রাফিক পুলিশ একজন প্রতিবন্ধী রিক্সা চালককে মারধর করেছে বলে অপপ্রচার চালিয়ে রিক্সা চালকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়। এতে ব্যাটারি চালিত রিক্সার মালিক, চালক ও মটর ব্যাটারি ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট লোকজন এই ঘটনায় ইন্ধন দেয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, পুলিশকে টার্গেট এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করা হয়েছে। অতর্কিত হামলা করে পুলিশের মনোবল ভাঙ্গা যাবে না। পুলিশের উপর হামলাকারী ও ইন্ধনদাতা সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এছাড়াও এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানা পুলিশ ১৩ জন ও পল্লবী থানা পুলিশ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।