গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় খেলাফত পদ্ধতির সরকার তথা কোরআন সুন্নাহ'র শাসনের বিকল্প নেই। ইসলাম ছাড়া অন্য কোন তন্ত্রে মন্ত্রে দুনিয়ার কোথাও শান্তি প্রতিষ্ঠার নজির নেই। ইসলামের পঞ্চম খলিফা আমীরুল মু' মিনীন হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ( রা.) এর শাসনামলে বাঘ ও বকরি এক ঘাটে পানি পান করেছে, বাঘ বকরির উপর আক্রমণ করেনি। এ ইতিহাস শুধুমাত্র ইনসাফের শাসনের কারণেই সম্ভব হয়েছে। এখনো যদি আল্লাহ দেয়া বিধান ইসলাম অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালিত হয় তাহলে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সর্বত্র শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে ইনশাআল্লাহ। আর এ লক্ষ্যে ওলামায়ে কেরামকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আজ শনিবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরস্থ জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়ায় ঢাকা ২ আসনের ওলামায়ে কেরামদের এক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী সুলতান মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা ইসমাইল বরিশালী, শাইখুল হাদীস মাওলানা শেখ আজিমউদ্দিন, মাওলানা সাইদুর রহমান, মুফতী ইলিয়াস মাদারীপুরী, মাওলানা আব্দুল হালিম,মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী, মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী ও মাওলানা আলী আজম সাভার। মাওলানা আতাউল্লাহ আরো বলেন, জন সাধারণকে ইসলামের হুকুমতের প্রয়োজনীয়তা ও সুফল সম্পর্কে বুঝানোর দায়িত্ব উলামায়ে কেরামের। সর্বজন স্বীকৃত বুযুর্গ হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহমতুল্লাহি আলাইহি উলামায়ে কেরামের ক্বিয়াদত প্রতিষ্ঠা করার জন্যই আজীবন চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। আল্লাহর যমিনে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার জন্য দেশ-বিদেশের মুসলিম শাসকদেরকে দাওয়াত দিয়েছিলেন। হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) প্রচলিত জুলুমের রাজনীতিকে পছন্দ করতেন না। তার দর্শন ছিল মদিনার দর্শন। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে মাঠে ময়দানে ইসলামের কথা বলার যখন কোন পরিবেশ ছিল না তখন আল্লাহর উপর ভরসা করে তওবার আহবান নিয়ে ময়দানে অবতীর্ণ হয়ে জেহাদের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছিলেন তিনি । হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) বলতেন যেমন গুনাহ তেমন তওবাহ। এতোদিন জালেমদেরকে ভোট দিয়ে মানব রচিত আইন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, এখন ইসলামের পক্ষে ভোট দিয়ে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান খেলাফত পদ্ধতির সরকার কায়েম করতে হবে। এটাই ভোটের তওবাহ। ভোট মানে সমর্থন বা স্বাক্ষী দেয়া। এটি একটি আমানত তাগুতি শক্তিকে ভোট দেয়া আমনতের খেয়ানত ও সৃষ্টি ও স্রষ্টার সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। নির্বাচিত হয়ে অযোগ্য ও অসৎ লোকগণ ক্ষমতায় গিয়ে যত অন্যায় করবে তাদেরকে যারা ভোট দিয়েছে তারাও এর পাপের অংশিদার হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।