Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উত্তরপ্রদেশে দাঙ্গা : ৫১ মুসলিমসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সংঘর্ষের প্রতিবেদন চাইলেন প্রদেশ ডিজিপি

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০২২, ৩:২৭ পিএম

এক পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে- কিছু আলেমের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ মহাপরিচালক (ডিজিপি) সুলতানপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় একটি প্রতিবেদন চেয়েছেন।
গত সোমবার সুলতানপুরে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ৫৫ জনকে মামলা করেছে এবং ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১২ জন সামান্য আহত হয়েছেন।
আলেম মাওলানা মেহতারুল ইসলাম বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তারা মূলত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।
পুলিশ অভিযুক্তকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে এবং ভারতীয় দ-বিধির (আইপিসি) প্রাসঙ্গিক ধারা এবং উত্তরপ্রদেশ রিকভারি অফ ড্যামেজেস টু পাবলিক অ্যান্ড প্রাইভেট প্রপার্টি অ্যাক্ট, ২০২০ এর অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে।
সুলতানপুরের পুলিশ সুপার সোমেন বর্মা বলেন, ‘ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ও ভিডিও ক্লিপের ভিত্তিতে ৫৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে যাদের মধ্যে ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একটি মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও মৌলভী রয়েছেন যারা মিছিলে পাথর ছুঁড়তে জনতাকে উস্কে দিয়েছিলেন’।
ওই কর্মকর্তা জানান, ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাসিন্দাদের বক্তব্যও রেকর্ড করা হবে। পুলিশ সহিংসতার সময় যাদের যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের চিহ্নিত করতে এবং তাদের মামলা নথিভুক্ত করার চেষ্টা করছে।
‘উভয় পক্ষই সহিংসতার পক্ষ ছিল’ তিনি বলেন।
১০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের জন্য শোভাযাত্রা বের করছিল অন্তত ৫০ জন। মিছিলটি ইব্রাহিমপুর এলাকায় পৌঁছলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা উচ্চস্বরে গানে আপত্তি জানায় এবং মিছিলের সদস্যদের ‘নামাজ’ পড়ায় ভলিউম কম করতে বলে। এ নিয়ে বাকবিত-ায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে।
মামলার পটভূমি : ঘটনাটি ১০ অক্টোবরের যখন হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা দুর্গাপূজা উপলক্ষে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি একটি মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা জনতাকে গানের ভলিউম কম করার জন্য অনুরোধ করেন।
জনতা ভলিউম কমাতে অস্বীকার করে, দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাথর ছোঁড়াছুঁড়ি হয়। মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, কিছু হিন্দু পুরুষ তলোয়ার নিয়ে মসজিদে ঢুকে পড়ে, ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ইস্যুতে হিন্দু জনতা বেশ কয়েকজন মুসলিমকে পিটিয়ে আহত করে। মুসলমানদের একটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ ব্যবস্থা নেয়।
তবে, সহিংসতার জন্য মামলা করা ৫২ জনের মধ্যে ৫১ জন মুসলমান এবং একজন নিরস্ত্র ব্যক্তি। উল্লেখ্য, সহিংসতার অভিযোগে এ পর্যন্ত ১০ জন মুসলিমকে আটক করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত একটি ভিডিওতে, হিন্দু জনতাকে সম্বোধন করে একজন কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে বলতে শোনা যায়, ‘চুন চুন কে মারুঙ্গা, মিট্টি মে মিলাদুঙ্গা আওর উনকে ঘর বুলডোজার চালা দুঙ্গা (আমি বেছে বেছে মারব, মাটিতে মিশিয়ে দেব, তাদের (মুসলিমদের) ঘরে বুলডোজার চালাব’।
এসময় পুলিশের কথায় উপস্থিত জনতাকে উল্লাস করতে দেখা যায়। সূত্র : সিয়াসাত ডেইলি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ