মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জন্মহার কমানোর জন্যেই ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইউরোপের দেশ গ্রিনল্যান্ড সরকার। এতে সহায়তা করেছিল ডেনমার্কের চিকিৎসকরা। ঘটনা গত শতাব্দীর সত্তরের দশকের। অবশেষে সেই ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রে একমত হয়েছে গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্ক সরকার। আগামী দু’বছর ধরে সেই তদন্ত চালানো হবে।
১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সাল। গ্রিনল্যান্ডে এই দশকে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার নাবালিকার জরায়ুতে বসানো হয়েছিল যন্ত্র। যন্ত্রের কাজ ছিল গর্ভস্থ ভ্রুণকে নষ্ট কর। এটির পোশাকি নাম ‘ইনট্রাইউটেরাইন ডিভাইস’ বা ‘আইইউডি’। লোকমুখে অবশ্য তা প্রচলিত ছিল ‘কয়েল’ বলেই।
বছরের পর বছর ধরে সেই যন্ত্রণা নিয়েই বেঁচে ছিলেন গ্রিনল্যান্ডের মেয়েরা। গোটা পরিকল্পনায় সামিল ছিলেন ডেনমার্কের চিকিৎসকরা। নারী দেহের উপর চালানো নৃশংস সেই অত্যাচারের এবার শাস্তি হওয়ার পালা। গ্রিনল্যান্ডের মেয়েদের অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের অনুমতি না নিয়ে ওই যন্ত্র জরায়ুতে বসানো হয়েছিল।
হাজার হাজার নারীদের একজন নাজা লিবের্থ। মাত্র ১৩ বছর বয়সে নাজার জরায়ুতে ওই যন্ত্র বসানো হয়েছিল। তার কথায়, ‘ওই সময় স্কুল থেকে রুটিন শারীরিক পরীক্ষার কথা বলে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই জরায়ুতে কয়েল বসিয়ে দেওয়া হয়। ওই সময় এতো ভয় পেয়েছিলাম যে, বাড়িতে ফিরে মা-বাবাকে পর্যন্ত কিছু বলতে পারিনি।’
নাজার মতো গ্রিনল্যান্ডের অসংখ্য মেয়ের অভিযোগ, সরকার গণহারে এই জঘন্য অপরাধ করেছিল। স্কুল থেকে মেয়েদের নিয়ে এই যন্ত্র জরায়ুতে বসানো হত। আর এই বিষয়টিও ছিল অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। দু’জন নার্স মেয়েদের শক্ত করে ধরে রাখতেন।
যে সব মেয়েদের জরায়ুতে ওই যন্ত্র বসানো হয়েছিল, তারা কোনও দিনই মা হতে পারেননি। এই নিয়ে সম্প্রতি একটি ফেসবুক পেজ খুলেছেন নাজা লিবের্থ। সেখানে ইতোমধ্যেই ৭০ জন মহিলা যোগ দিয়ে জানিয়েছেন তাদের যন্ত্রণার কথা। তদন্তে এই সব মহিলার বক্তব্য রেকর্ড করা হবে বলে জানিয়েছে গ্রিনল্যান্ড সরকার। সূত্র : বিবিসি নিউজ, লামন্ডে ফ্রান্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।