মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কায় চীনে তাইওয়ানের কোম্পানিগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দিকে চলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে একটি মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। যে কারণে সায়ত্ত্বশাসিত এই দ্বীপটির এখন প্রয়োজন, বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ওই কোম্পানিগুলোকে গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা প্রদান করা।
নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের মূল্যবোধ সম্পন্ন কোম্পানিগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেও একটি উভয় সংকটের মধ্যে পড়েছে। এই অঞ্চলে কম্বোডিয়া থেকে মিয়ানমার পর্যন্ত দেশগুলোতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে এবং সেখানকার কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রায়শই রাজনৈতিক ফায়দার বিনিময়ে বেইজিংয়ের দিকে মুখ ফিরিয়ে আছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস) তাইওয়ানের ৫০০ জন বেসরকারি নির্বাহী কর্মকর্তাদের ওপর একটি জরিপ পরিচালনা করেছে। তাতে দেখা গেছে, জরিপে অন্তর্ভূক্ত কোম্পানির ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ ইতোমধ্যে উৎপাদন ও সরবরাহ কার্যক্রম চীনে না করে বাইরে অন্য কোথাও থেকে করছে। বাকি তিন-চতুর্থাংশ একই কাজ করার কথা ভাবছে।
এই সপ্তাহে ওই জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। যারা চীনের বাইরে চলে যেতে চাচ্ছে তাদের অধিকাংশই (৬৩ দশমিক ১ শতাংশ) দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় যাচ্ছে।
তাইওয়ান নেক্সট জেন ফাউন্ডেশনের সিইও চেন কুয়ান-টিং বলেছেন, “ব্যয় এবং নির্ভরতার বিষয়ের প্রশ্নে নতুন দক্ষিণঘেঁষা নীতি যে সময়োচিত এতে কোনো সন্দেহ নেই; গণপ্রজাতন্ত্রী চীনে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে এই সংকটগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে দেখা গেছে।
২০১৬ সালে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই এশিয়াকে ঘিরে তার পররাষ্ট্রনীতির কথা জানান, যাকে বলা হয় ‘নিউ সাউথবাউন্ড পলিসি’ (এনএসপি)। তাইওয়ান দক্ষিণে তার প্রতিবেশী এবং অংশীদারদের কাছে পৌঁছানোর জন্য এবং চীনা বাজার থেকে বহুমুখী বাজারে প্রবেশের কথা উল্লেখ করেছে। সাইয়ের উদ্যোগে দক্ষিণ-পূর্ব এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে এবং এর বাইরেও বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
সিএসআইএস জরিপে বলা হয়, বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, তাইওয়ানকে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের অধীনে নিতে চীনের একটি সুসংগত অভ্যন্তরীণ কৌশল ও রোডম্যাপ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।