Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের ষড়যন্ত্রমূলক মনোভাব আফ্রিকার স্থানীয়দের উস্কে দিচ্ছে

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০২২, ৪:৫৫ পিএম

আফ্রিকায় চীনা কোম্পানিগুলোর ষড়যন্ত্রমূলক মনোভাব এবং ব্যাপক নিরাপত্তা যন্ত্রপাতির সমাহার তাদের বিরুদ্ধে সেখানকার স্থানীয়দের উস্কে দিচ্ছে। বেশিরভাগ আফ্রিকান নাগরিক চীনা কোম্পানিগুলোকে স্বাধীন সত্ত্বা হিসেবে দেখেন না, কেবল চীন সরকারের অংশ হিসাবেই মনে করে।
জিও পলিটিক্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকার দেশগুলোতে কাজ করা চীনা কোম্পানিগুলোর একটি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হল, তারা চীনের সুরক্ষা যন্ত্রপাতি এবং মানব সম্পদ ব্যবহারে জোর দেয়। কেবল চীনা সংস্থাগুলো থেকেই বিভিন্ন নির্মাণ বা অন্যান্য প্রকল্পের কাজে কর্মী ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম বসানো হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আফ্রিকায় চীনা কোম্পানিগুলোর কর্মকাণ্ড খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ১০ লাখ চীনা কর্মী এবং ১০ হাজারেরও বেশি চীনা কোম্পানি আফ্রিকায় কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সমুদ্রপথের নিরাপত্তায় শুধু চীনা নিরাপত্তা কোম্পানিগুলোকে ওই সম্পদ ও নাগরিকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা যেভাবে কাজ করছে তা উপনিবেশিক যুগের মতাদর্শের মতো।
আফ্রিকায় চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ চালু হওয়ার পর থেকে চীনা নিরাপত্তা পরিষেবার বাজার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চীনের নিরাপত্তা সেবার বাজার তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু কোম্পানি সশস্ত্রবাহিনী নিয়ে আফ্রিকায় কাজ করছে বলে মনে করা হয়।
বেশিরভাগ চীনা কোম্পানি চিরাচরিত নিরাপত্তা সেবা প্রদান করলেও তাদের অনেকেই গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং নজরদারির ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক সক্ষমতা অর্জ করেছে। এগুলোর কিছু আবার স্থানীয় সশস্ত্র প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও কাজ করছে। কোম্পানিগুলোর ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং স্থানীয় সমস্যায় তাদের হস্তক্ষেপ আফ্রিকার দেশগুলোতে অনেক আইনশৃঙ্খলা সমস্যা সৃষ্টি করছে।
২০১৮ সালে জাম্বিয়ার একটি স্থানীয় নিরাপত্তা কোম্পানিকে অবৈধ প্রশিক্ষণ এবং ইউনিফর্ম ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করার অভিযোগে দুই চীনা নিরাপত্তা ঠিকাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বিশেষ করে তিনটি দেশ যেমন, কঙ্গো, সুদান এবং দক্ষিণ সুদান চীনা এজেন্সিগুলোর কার্যকলাপের কারণে বেশি আইনশৃঙ্খলা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বলে মনে করা হয়।
সমস্যাটি অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে; কারণ অনেক চীনা সংস্থা মালি, জিবুতি, মিশর, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং তানজানিয়ায় নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। যদিও চীনা নিরাপত্তা সংস্থাগুলো আফ্রিকার দেশগুলোতে যথেষ্ট প্রভাব অর্জন করেছে, তবুও স্থানীয় জনগণের মধ্যে তাদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হওয়া ঢেঢ় বাকি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ