পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎতের উৎপাদন ক্ষমতা বেশি থাকলেও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে উৎপাদন কমিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বন্ধ রাখা হয়েছে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। এর ফলে দেশজুড়ে চলছে লোডশেডিং, ব্যবহার কমাতে নানা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এরপরও ঢাকাসহ সারাদেশেই বিদ্যুৎ নিয়ে চলছে লুকোচুরি খেলা। সরকার লোডশেডিংয়ের সময় বেধে দিলেও সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে কয়েকগুণ। ফলে সঙ্কট দেখা দিয়েছে শিল্প ও উৎপাদন কারখানাগুলোতে। প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় ব্যহত হচ্ছে পণ্য উৎপাদন, প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতেও। গত মঙ্গলবার জাতীয় গ্রিডে সমস্যার কারণে দেশজুড়ে দেখা দেয় বিদ্যুৎ বিপর্যয়। যদিও কি কারণে বিপর্যয়ের ঘটনা সেটি এখনো খোলাসা করেনি বিদ্যুৎ বিভাগ। সামনের দিনে একই রকম বিপর্যয়ের আশঙ্কার কথা ইতোমধ্যে বলেছেন অনেকে। যা ভাবিয়ে তুলেছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এরই মধ্যে বেসরকারি বা ভাড়া ৫৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন খরচ পরিশোধ করতে পারছে না সরকার। প্রতিমাসে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে যে বিদ্যুৎ ক্রয় করা হয় তার ব্যয় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। সরকার গত প্রায় পাঁচ মাস ধরেই তাদের ভাড়া পরিশোধ বন্ধ রেখেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যয়ের ৮০ শতাংশ খরচ হয় উৎপাদন ও জ্বালানি খরচ। এমন অবস্থায় ভাড়া পরিশোধ না করলে যে কোন সময় উৎপাদন বন্ধ করে দিতে পারে প্রতিষ্ঠানগুলো। যদিও বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, সব সময় ২ মাসের বিল বকেয়া থাকে। ইতোমধ্যে মে মাসের ভাড়ার অর্থ ছাড় করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের মোট বিদ্যুতের ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ ফার্নেস অয়েল ও ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আসে। আর ৬০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎ আসে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে। বেসরকারি উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনার জন্য প্রতি মাসে বিপিডিবির প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। কিন্তু সম্প্রতি জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যয়ও বেড়েছে। এদিকে গত ৫ মাসের বেশি সময় ধরে বিল পরিশোধ করতে পারছে না সরকার। এতে উৎপাদন ব্যহত হতে পারে বলে মত তাদের। উৎপাদন সক্ষমতা ও সরবরাহে সামঞ্জস্য না থাকায় অদ্ভুত এক সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এরপর আবার গত মঙ্গলবার জাতীয় গ্রীডে বিপর্যয়ের কারণে ঢাকা, চট্রগ্রাম, ময়মানসিংহ, সিলটেসহ দেশের ২৮ জেলায় দিনভর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। এই বিপর্যয়ের কারণ জানতে একাধিক তদন্ত কমিটি হলেও রহস্যজনকভাবে এখনও কারণ অজানা। জাতীয় গ্রীডে বিপর্যয়ের পর থেকে সারাদেশে বিদ্যুৎতের লোডশেডিং বেড়েছে। একঘন্টা বিদ্যুৎ থাকলে ৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকছে। বিদ্যুতের সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ায় ঠিকমতো নিজেদের উৎপাদন পরিচালনা করতে পারছে না বিভিন্ন খাতের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জণেও তৈরি হয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতা। এমতাবস্থায় টান পড়তে পারে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও। যা দেশের অর্থনীতির জন্যও বড় অশনিসঙ্কেত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে দেশে দীর্ঘদিন থেকে চলমান বিদ্যুৎ সঙ্কটে শিল্প-কারখানায় উৎপাদন কমে গেছে। তাই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই (দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি)। এমনকি ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ লোডশেডিং তুলে দেয়ারও দাবি জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, আগেই থেকেই শিল্পে গ্যাস-বিদ্যুতের সঙ্কট ছিল। গত কয়েক মাসে নতুন করে তা আরও বেড়েছে। বিশেষ করে জাতীয় গ্রীডে বিপর্যয়ের পর থেকে বিদ্যুতের তীব্র সঙ্কটের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করেছে শিল্পগুলো। এর মধ্যে যেসব শিল্পে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় বেশিÑইস্পাত, সার ও সিরামিকসহ অন্যান্য শিল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে যাওয়ায় আরও যেসব শিল্প ধাক্কা খেয়েছে সেগুলোর মধ্যে আছে জাহাজ ভাঙা ও পোশাক। বারবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং গ্যাসের চাপ কম থাকায় বেশিরভাগ কারখানার উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু শিল্প বিকল্প জ্বালানির উৎস ব্যবহার করে সঙ্কট মোকাবিলার চেষ্টা করছে। রফতানিকারকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের সরবরাহ পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি না হলে রফতানি আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে খুব বেশিদিন সময় লাগবে না।
জানা যায়, তেলভিত্তিক বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ কেনার খরচ বাড়ার পর ৫ মাসের বিল বকেয়া পড়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র বিদ্যুৎ ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি)। ফলে বিপিডিবি এখন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ কেনা ও সরবরাহ অব্যাহত রাখতে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে চায়। সাধারণত: দেশের মোট বিদ্যুতের ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ ফার্নেস অয়েল ও ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আসে। আর ৬০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎ আসে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে। বেসরকারি উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনার জন্য প্রতি মাসে বিপিডিবির প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। কিন্তু সম্প্রতি জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যয়ও বেড়েছে।
বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সাথে জড়িতরা জানান, জ্বালানি তেলে মূল্য বৃদ্ধির পরও বাড়তি এই ব্যয়েই এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ করছেন তারা। বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি অনুযায়ী, বিল ইস্যু করার তারিখের ৩০ দিনের মধ্যে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার কথা বিপিডিবির। কয়েকটি কেন্দ্রের মালিকরা জানান, পাঁচ মাসের বিল বকেয়া পড়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদানকারীরাও পরিচালন খরচ বহন করতে ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপরীতে নেওয়া ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে সমস্যায় পড়েছেন। বিপিডিবিকে অবিলম্বে বকেয়া পরিশোধের আহ্বান জানান তারা। অন্যত্থায় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অর্থিক সঙ্কটের কারণে উৎপাদন অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে না।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান ইনকিলাবকে বলেছেন, বিদ্যুৎ সঙ্কটের সমাধানে কাজ করছে সরকার। বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মে মাসের বকেয়া বিল ইতোমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সবসময়ই দুই মাসের বিল বকেয়া থাকে। বর্তমানে বকেয়া বিল দুই মাসের কিছুটা বেশি হয়েছে। দ্রুতই বিষয়টির সমাধান হবে বলে উল্লেখ করেন মো. হাবিবুর রহমান।
এদিকে ফার্নেস অয়েল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে কারখানা চালাতে গিয়ে সক্ষমতার অন্তত ৩০ শতাংশ বন্ধ রেখেছে দেশের ইস্পাত খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের বিএসআরএম গ্রুপ। এতে উৎপাদন খরচও ২৫-৩০ শতাংশ বেড়েছে প্রতিষ্ঠানটির। এরপর নতুন করে লোডশেডিংয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে আরও বিপর্যয় নেমে এসেছে।
বিএসআরএমের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত বলেছেন, দৈনিক ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে তারা পাচ্ছেন ১১০ মেগাওয়াট। এ সমস্যা সমাধানের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থাও তাদের হাতে নেই। পাশাপাশি জাতীয় গ্রীডে বিপর্যয়ের পর চাহিদার বিপরীতে আরও কম পাচ্ছেন বিদ্যুৎ। তপন সেনগুপ্ত বলেন, এ অবস্থায় উৎপাদন কমিয়ে কারখানা চালিয়ে নিতে হচ্ছে। ক্ষতির পরিমাণ এখনো কল্পনাও করতে পারছি না। ক্রেতাদের অর্ডার সময়মতো দিতে না পারলে বাজার হারানোর শঙ্কা তো রয়েছেই। আগে থেকেই বিদ্যুৎ ঘাটতির ফলে দেশের ইস্পাত খাতে আরও দুই জায়ান্ট কেএসআরএম ও মোস্তফা হাকিম গ্রুপও উৎপাদন সক্ষমতা পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারছে না। নতুন করে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যহত হওয়ায় উৎপাদনে বড় ধরণের প্রভাব ফেলছে। কেএসআরএমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বলেছেন, লোডশেডিংয়ের কারণে তাদের কারখানাগুলোতে প্রায় ৩০ শতাংশের বেশি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছিল। এখন তা আরও বেড়েছে।
মোস্তফা হাকিম গ্রুপের পরিচালক সরওয়ার আলম বলেন, ইস্পাত শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের প্রয়োজন। এ শিল্পে কাঁচামালের সঙ্কট হলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়, যন্ত্রপাতির অপচয় খরচ বাড়ে। এছাড়া শ্রমিকদের বসিয়ে রেখে বেতন গুনতে হয়। পিএইচপি ফ্যামিলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, বর্তমান লোডশেডিংয়ের বাস্তব প্রভাব সম্পর্কে বলতে আরও সময় লাগবে। তবে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। সামনে কি হবে বলা যাচ্ছে না।
এদিকে লোডশেডিং বাড়ায় বিদ্যুতের ঘাটতিতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে পোশাক কারখানায়। বড় ধরণের সমস্যার মুখোমুখি শীর্ষ রফতানি আয়ের খাত তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোও।
কর্ণফুলী ইপিজেডের ফিনেস অ্যপারেলস। চলতি বছর ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ ফর্মাল পোশাক রফতানির টার্গেট ছিলে তাদের। কিন্তু বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে প্রতিষ্ঠানটির পোশাক উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে।
বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি ও আরডিএম গ্রুপের চেয়ারম্যান রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেছেন, তীব্র লোডশেডিংয়ে পোশাক কারখানাগুলোতে উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। যদি বিদ্যুতের এমন বেহাল দশা হয় তাহলে শুধু ব্যবসায়ীরা না, পুরো দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেছেন, অস্থিতিশীল বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে আমাদের উৎপাদন পরিকল্পনা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এতে সময়মতো শিপমেন্টও কঠিন হয়ে যাবে। এর ফলে ক্রেতারা আস্থা হারাতে পারে বলেও জানান তিনি। ডিজেল জেনারেটর চালিয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছেন বলে জানান রাকিব। তবে এতে উৎপাদন খরচ কয়েকগুন বাড়ছে বলে জানান তিনি।
বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বিদ্যুতের সমস্যার কারণে আমাদের উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিটি কারখানায় জেনারেটর দিয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হচ্ছে। তবে জেনারেটর দিয়ে কাজ চালাতে গিয়ে পণ্যের কোয়ালিটি ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাবো যেন এ সমস্যার সমাধান হয়। না হলে দেশকে বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা প্রফেসর শামসুল আলম বলেন, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে রেন্টাল ও কুইক রেন্টালসহ শতাধিক প্রকল্প উৎপাদনে আনা হয়। তারপরও এগুলো থেকে মানসম্মত বিদ্যুৎ মেলেনি। দলীয় ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হয়েছে। চাহিদা না থাকায় এসব কেন্দ্র প্রায়ই বন্ধ থাকে। বসে থেকে বছর বছর ক্যাপাসিটি পেমেন্ট নিচ্ছে। আবার সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রেখে বেসরকারি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনা হচ্ছে। প্রফেসর শামসুল আলম বলেন, বিভিন্ন মহলের স্বার্থজনিত নানা কারণে বিদ্যুৎ খাতে এ অবস্থা। তিন বছরের চুক্তিবদ্ধ রেন্টাল প্রকল্প ১৫ বছরের জন্য ব্যবসা করার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বেড়েই চলেছে।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।