Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্রিমিয়া সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, তেল ট্যাঙ্কারবাহী রেলে আগুন, একাংশে ধস

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০২২, ৭:১২ পিএম

ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সাথে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী ইউরোপের বৃহত্তম রেল ও সড়ক সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের পর তেল ট্যাঙ্কারবাহী রেলে আগুন ধরে যায় এবং সেতুর একাংশ ধসে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। রাশিয়া সেতু নাশকতার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করলেও কিয়েভ সরাসরি কোনও দায় স্বীকার করেনি।
২০১৪ সালে সামরিক অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দ্বীপের দখল নেয় রাশিয়া। পরে এই দ্বীপের সাথে রাশিয়ার সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য দীর্ঘ ১৯ কিলোমিটার সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ক্রিমিয়া দ্বীপ দখলে নেওয়ার চার বছর পর সেতুটিকে রাশিয়ার পরিবহন নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত করে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মহা ধুমধাম করে সেটির উদ্বোধন করেছিলেন।
ইউক্রেন যুদ্ধে এই সেতু রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক সরবরাহ রুটে পরিণত হয়েছে। কারণ ইউক্রেনের দক্ষিণের খেরসন অঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা রুশ সৈন্যরা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তাদের কাছে অস্ত্র ও সামরিক রসদ পাঠানোর অন্যতম পথ ক্রিমিয়া উপদ্বীপের দীর্ঘ এই সেতুটি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে রাশিয়ার জাতীয় সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি বলেছে, শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৭ মিনিটে ক্রিমিয়া সেতুতে একটি মালবাহী ট্রাকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এর ফলে উপদ্বীপের দিকে চলন্ত ট্রেনের সাতটি জ্বালানি ট্যাঙ্কারে আগুন ধরে গেছে।
এতে বলা হয়েছে, সড়ক সেতুর দুটি অংশ আংশিকভাবে ধসে গেছে। তবে সেতুর জাহাজ চলাচলের জন্য রাখা খিলান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। যে জলপথ দিয়ে কৃষ্ণ সাগর এবং আজভ সাগরের মধ্যে জাহাজ চলাচল করে সেগুলো অক্ষত আছে।
ক্রিমিয়া উপদ্বীপের রাশিয়ান গভর্নর সের্গেই আকসিওনভ বলেছেন, সড়ক সেতুটি এখনও এক দিকে অক্ষত আছে। যদিও ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করার সময় যান চলাচল বন্ধ ছিল।
ছবিতে দেখা যায়, সেতুর একাংশ থেকে ঘন কালো ধোঁয়া উড়ছে। পরে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে বলে বলে রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক টুইটারে এক বার্তায় বলেছেন, এটি কেবল ‘শুরু’। তবে ইউক্রেনীয় বাহিনী বিস্ফোরণের জন্য দায়ী কিনা সেবিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
মিখাইলো পোডোলিয়াক বলেছেন, ‘অবৈধ সবকিছু ধ্বংস করা হবে। চুরি হওয়া সবকিছু ইউক্রেনে ফেরত আনা হবে। রাশিয়ার দখলে থাকা সবকিছু অবশ্যই মুক্ত করা হবে।’
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা তাস বলেছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন সেতুতে বিস্ফোরণের এই ঘটনা তদন্তে সরকারকে একটি রাষ্ট্রীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।



 

Show all comments
  • MOHAMMED ANWAR HOSSAIN ৮ অক্টোবর, ২০২২, ৮:০৫ পিএম says : 0
    এই সেতু বিস্ফোরণকে রুশ রণতরী মস্কোভার ডুবে যাওয়ার সাথে তুলনা করেছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। টুইটে বলেছে, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষমতা খাটানোর দুই কুখ্যাত প্রতীক ভেঙে পড়েছে।’ ‘এরপর কী?’
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ