পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছাত্রলীগের হামলায় নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ। তারা চেয়ার ভাংচুর করে ত্রাস সৃষ্টি করে। গতকাল শুক্রবার এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে জানান আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক আখতার হোসেন।
উল্লেখ তিস্তার পানি চুক্তি না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় বাংলাদেশ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্রলীগ নেতারা মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ নিয়ে সারা বিশ্বে তোলপাড় শুরু হয়। বুয়েট ছাত্রদের ব্যাপক আন্দোলনের মুখে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। বিচারে তাদের সকলকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
ছাত্রলীগের হামলা প্রসঙ্গে আখতার হোসেন বলেন, আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী স্মরণ সভা শুরুর পরপরই প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতে আমাদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আমাদের অন্তত ১০ জন আহত ও ২ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা কোনো দলীয় ব্যানারে এ প্রোগ্রাম করিনি। আমরা প্রোগ্রাম করেছি আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের ব্যানারে। আমরা এই ন্যাক্কারজনক হামলায় ধিক্কার জানাই।
প্রত্যক্ষদর্শী সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা জানান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খানের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী হামলা চালায়। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সবাই ঢাবি শিক্ষার্থী কি-না জানতে চায়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে তারা অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। স্মরণ সভার জন্য আনা অর্ধশতাধিক চেয়ার ভাঙচুর করা হয় ও ব্যানার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান বলেন, যারা এখানে এসেছে তারা সবাই বহিরাগত। ঢাবি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের বিশৃংখলা চায় না। আমরা হামলা করিনি। আয়োজকরা ঢাবি শিক্ষার্থী কিনা জানতে চাইলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।
ঘটনার সময় সেখানে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের সদস্যরা জানান, হামলায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এম. এম মহিন উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান, সাংগঠনিক নাজিম উদ্দীন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক আল আমিন রহমান, উপ-দপ্তর সম্পাদক শিমুল খান, আব্দুর রাহিম, জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দীন রানা, সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনসহ কেন্দ্রীয়, ঢাবি ও হল শাখা ছাত্রলীগের কয়েকশ নেতাকর্মী অংশ নেয়।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা বলেন, ছাত্রলীগের হামলায় আমাদের মোট ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল আসলে ছাত্রলীগ এখানেও হামলা করে। আমি ঢাকা মেডিকেলের একটি কক্ষে আবদ্ধ অবস্থায় রয়েছি। বাহিরে ছাত্রলীগ কর্মীরা হট্টগোল করছে। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী কর্মসূচি জানিয়ে দেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।