রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় হাসপাতাল চালু না হওয়ায় সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে এ উপজেলার মানুষ। সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, জেলার বৃহত্তর নগরকান্দা উপজেলাকে সংসদ উপনেতার চেষ্টায় দু’ভাগে বিভক্ত করে পশ্চিম নগরকান্দাবাসীর সুবিধার্থে নতুন করে সালথা উপজেলা করা হয়। উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের হাবিলি গট্টি গ্রামে ১০ বিঘা জমির উপরে সরকারিভাবে নতুন করে হাসপাতালের ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। হাসপাতাল চালু না হওয়া পর্যন্ত উপজেলার মানুষের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত রয়েছে। সালথা উপজেলায় হাসপাতাল নেই তাই এ উপজেলার মানুষ চিকিৎসা সেবা পেতে ছুটে যায় আশপাশের উপজেলায়, ফরিদপুর জেলা সদরে। এলাকার মানুষ চিকিৎসা নিতে বাঁচার তাগিদে ছুটে যায় দূরদূরান্তের হাসপাতালে। নগরকান্দা উপজেলায় ৫০ শয্যা একটি মাত্র হাসপাতাল রয়েছে সেখানে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে দেখা যায় দু’উপজেলার মানুষকে। হাসপাতাল দূরে থাকায় রোগী নিয়ে পড়ছে বিপদে। যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন ভালো না থাকায় রোগী নিয়ে পথের মধ্যে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। দিন দিন মানুষ বাড়ছে, বাড়ছে না হাসপাতালের শয্যা। প্রায় ৫ লাখ মানুষের বসবাস রয়েছে সালথা উপজেলায়। চিকিৎসা সেবা নিতে, নেই একটি হাসপাতাল মুখ থুবড়ে পড়ছে এ উপজেলার চিকিৎসা সেবা। উপজেলার খেটে খাওয়া মানুষ উন্নত চিকিৎসা সেবা তো দূরের কথা সামান্য প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে পারছে না। ভুক্তভোগী নটখোলা গ্রামের আফছার হাওলাদার বলেন, সালথায় নতুন করে হাসপাতালের নির্মাণ কাজ চলছে, আমার অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে নিয়ে প্রায় ৩০ কিমি. দূরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ডেলিভারি করিয়ে আনছি। চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। সালথায় নতুন করে ৫০ শয্যার হাসপাতালটি চালু হলে খরচ বেশি হতো না। সালথায় উপজেলার ভাওয়া ইউনিয়নের তুগুলদিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী হায়দার আলী বলেন, আমার বাবাকে সঠিক সময় হাসপাতালে না নেওয়ায় তিনি এখন দুরারোগ্য রোগে ভুগছেন। সালথা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাজেরা খাতুন বলেন, সালথায় হাসপাতাল ভবন নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ, নির্মাণ শেষ হলে হাসপাতাল চালু করা হবে। হাসপাতাল চালু হলেই সালথা উপজেলার মানুষের চিকিৎসা সেবা পেতে আর অসুবিধা হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।