গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাসূলে কারীম (সা.) এর আদর্শ থেকে বিচ্যুতির কারণেই মূলত পৃথিবীতে অশান্তি বিরাজ করছে। সমাজে সত্যিকার অর্থে আদর্শ, নৈতিক বোধসম্পন্ন ও দেশপ্রেমিক দ্বীনদার মানুষ গড়ার জন্য প্রিয় নবীর অনুপম আদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই। আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট ঢাকার ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার আয়োজিত জশনে জুলুছ র্যালী পরবর্তী নবীপ্রেমিকদের সমাবেশে শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। র্যালিটি ঢাকা মোহাম্মদপুর কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদরাসা হতে আরম্ভ হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মাদরাসা ময়দানে গিয়ে বিশাল জনসমূদ্রে পরিণত হয়। জুলুছের নেতৃত্ব এবং মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন আওলাদে রাসূল সায়্যিদ মোহাম্মদ তাহির শাহ। প্রধান অতিথি ছিলেন আলহাজ সায়্যিদ মোহাম্মদ সাবির শাহ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহজাদা সায়্যিদ মোহাম্মদ কাশিম শাহ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, মৌলিক অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর অধিকাংশ জনগোষ্ঠী। সম্পদের পাহাড় গড়ছে কিছু মানুষ। অন্যদিকে অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা ও বাসস্থানের অভাবে আছে বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসাধারণ। অন্যায়ভাবে যুদ্ধ চাপিয়ে প্রতিবছর শরণার্থী করা হয় অসংখ্য মানুষকে। বিশেষ করে অনেক জায়গায় মুসলিম নিধন ঘটে নীরবে। অন্যদিকে, নৈতিক ও যথাযথ ধর্মীয় শিক্ষা ও অনুশীলনের অভাবে সমাজে খুন-খারাবি, ঘুষ দুর্নীতি, নারী নির্যাতন ইত্যাদি লেগেই আছে। এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় প্রিয়নবী (সা.) আদর্শ ও শিক্ষার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন। এই শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের অন্তরাত্মা পরিশুদ্ধ হয় এবং ইহলোক ও পরোলোকে শান্তি নসিব হয়। মুফতি আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হকের সঞ্চালনায় সংগঠনের চেয়ারম্যান আলহাজ মুহাম্মদ শহীদ উল্লাহ, কেন্দ্রীয় আঞ্জুমানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ মুহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পি.এইচ.পি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান আলহাজ সুফি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ আবু আহমেদ মন্নাফি, এডিশনাল সেক্রেটারি আলহাজ মুহাম্মদ শামসুদ্দিন, জয়েন্ট সেক্রেটারি আলহাজ মুহাম্মদ সিরাজুল হক, ঢাকা আঞ্জুমানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ মোহাম্মদ ফজলুর রহমান, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আলহাজ মোহাম্মদ আব্দুল মালেক বুলবুল, আলহাজ শোয়েবুজ্জামান চৌধুরী তুহিন, আলহাজ মুহাম্মদ হযরত আলী। এছাড়া পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) এর তাৎপর্য তুলে ধরে বয়ান করেন কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া আলিয়া (কামিল) মাদরাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ কাজী আব্দুল আলিম রিজভী, মুফতী মাহমুদুল হাসান, মাওলানা মুনিরুজ্জামান, মাওলানা মাহমুদুর রহমান চিশতী ও ড. মাওলানা নাসির উদ্দিন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে নবী-অলিদের প্রতি বিদ্বেষী করে তোলে, হাজার বছর ধরে চলে আসা ইসলামী অনুষ্ঠানমালা যেমন ঈদে মিলাদুন্নবী, শবে বরাত, শবে মেরাজ ও ফাতেহা ইয়াজ দহমের বিরোধিতা করে তাদের ব্যাপারেও সতর্ক থাকা দরকার। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আল্লাহ পাকের নেয়ামতসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ নেয়ামত মহানবী (সা.) এর সৃষ্টি। তাঁর সৃষ্টিতে ধন্য হয়েছে সমগ্র সৃষ্টিজগত। যাঁর সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ বলেন, আমি আপনাকে সমগ্র সৃষ্টির জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছি (আল-কোরআন)। বর্ণাঢ্য র্যালিতে হাজার হাজার মুসল্লি হাতে কলেমা খচিত বিভিন্ন রং-বে রংয়ের পতাকা নিয়ে অংশ নেন। পরিশেষে বাংলাদেশসহ সমস্ত মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন আল্লামা আলহাজ সায়্যিদ মুহাম্মদ তাহির শাহ্।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।