মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে ‘ধর্মভিত্তিক জনবিন্যাসের বদল’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। সেইসাথে তিনি আফ্রিকার দক্ষিণ সুদান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পূর্ব-তিমোর এবং ইউরোপের কসোভোর উদাহরণ টেনে ভবিষ্যতে ‘দেশ ভাঙার আশঙ্কার’ দিকে ইঙ্গিত করে ধর্মের ভিত্তিতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পক্ষেও মন্তব্য করেছেন।
ভাগবত গতকাল বুধবার নাগপুরে সংঘের দশেরা উৎসব কর্মসূচিতে বলেন, ‘ভারতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি সরকারি নীতির প্রয়োজন। ধর্মভিত্তিক জনবিন্যাস নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না করা হলে ভবিষ্যতে দেশ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।’ তার কথায়, ‘জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি, ধর্মের ভিত্তিতে জনসংখ্যার ভারসাম্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা উপেক্ষা করা যায় না।’ ‘ধর্মভিত্তিক জনবিন্যাসের বদলের’ কারণেই সুদান ভেঙে দক্ষিণ সুদান, সার্বিয়া ভেঙে কসোভো এবং ইন্দোনেশিয়া ভেঙে পূর্ব তিমোরের মতো নতুন দেশ গঠিত হয়েছে বলেও বক্তৃতায় মনে করিয়ে দিয়েছেন ভাগবত।
উল্লেখ্য, ইসলামি রাষ্ট্র সুদানের অ-ইসলামি জনজাতি প্রধান অঞ্চল নিয়ে ২০১১ সালে গঠিত হয়েছিল দক্ষিণ সুদান। ২০০৮ সালে খ্রিস্টানপ্রধান সার্বিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয় মুসলিমপ্রধান কসোভো। ২০০২ সালে ইসলামি রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া থেকে আলাদা হয়ে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে খ্রিস্টানপ্রধান পূর্ব তিমুর।
সরাসরি নাম না করলেও সসংঘচালক সুদর্শন তার বক্তৃতায় ভারতে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। এর সাথে ২০১৫ সালে আরএসএস অখিল ভারতীয় কার্যকরী মÐল (এবিকেএম)-তে গৃহীত একটি প্রস্তাবের প্রসঙ্গও তুলেছেন তারা। ২০১১ সালের জনগণনার পরিসংখ্যান তুলে ধরে ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, ‘মূল ভারতীয় ধর্মাবলম্বীদের জনসংখ্যা ৮৮ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৮৩.৮ শতাংশে। মুসলিমদের জনসংখ্যার হার ৯.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪.২৩ শতাংশ।’
গত বছর আরএসএসের প্রতিষ্ঠা দিবসের বক্তৃতায় ওই প্রসঙ্গ তুলে ভাগবত বলেছিলেন, ‘এ দেশের নিজস্ব ধর্মের মানুষদের জনসংখ্যা ৮১.৩ শতাংশ থেকে কমে ৬৭ শতাংশে নেমে এসেছে গত ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে। অন্য দিকে, ওই দশকে খ্রিস্টানদের জনসংখ্যা বেড়েছে ১৩ শতাংশ। মণিপুরে মূল ভারতীয় ধর্মের জনসংখ্যা ৮০ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে।’ সূত্র : এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।