Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বোরো মৌসুমে শতাধিক একর জমির চাষাবাদ হুমকির মুখে

পটিয়ায় খাল ভরাটে কৃষকের দুর্দিন

| প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এসকেএম নুর হোসেন, পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে : চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার সুচক্রদন্ডী গ্রামের মানুষের চাষাবাদের একমাত্র চাঁনখালীর শাখা খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় শতাধিক একর আবাদযোগ্য জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে না। গত আমন মৌসুমে জলাবদ্ধতা ও আসন্ন বোরো মৌসুমে প্রয়োজনীয় পানি সেচের অভাবে এ জমিগুলোতে ধান চাষ হচ্ছে না বলে চাষিরা জানান। বর্তমানে জমিগুলোতে আগাছা জন্মে এর উর্বরতা শক্তিও নিঃশ্বেষ হয়ে যাওয়ায় এ জমির চাষাবাদনির্ভর কৃষকদের দুর্দিন চলছে বলে সূত্রে প্রকাশ। জানা যায়, পটিয়া পৌরসভার সুচক্রদন্ডী ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিমপাশের্^ আবাদযোগ্য প্রায় শতাধিক একর চাষাবাদযোগ্য জমি রয়েছে। সেই জমিতে অতীতে চাঁনখালীর শাখা খালে জোয়ার-ভাটার পানি অবাধ চলাচল করতে পারায় আমন ও বোরো মৌসুমে কৃষকরা অনায়াসে চাষাবাদ করতে পারতো। সম্প্রতি খালটি পলি জমি ভরাট হয়ে যাওয়ায় আমন এবং বোরো ২ মৌসুমেই কৃষকরা চাষাবাদ করেনি। ফলে জমিগুলো খীল পড়ে থাকায় সেখানে নানান আগাছা জন্মে এর উর্বরাশক্তি হ্রাস পাচ্ছে বলে কৃষকরা অভিযোগ করেন। বর্তমানে আমন মৌসুমে এখানে এক একর জমিতে যেমন চাষাবাদ হয়নি তেমনি আসন্ন বোরো মৌসুমেরও চাষাবাদ হওয়া না হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। স্থানীয় কৃষক এয়ার মুহাম্মদ বলেন, খালটি ভরাট হলেও আমরা শাখা খালের উপর একটি সেতুর অভাবে আমাদের জমিতে দীর্ঘদিন ধরে যেতে পারিনি। বর্তমানে এলজিইডি একটি সেতু নির্মাণ করতেছে। আমরা আশাবাদী এটি নির্মিত হলে ও খাল খনন হলে পরিত্যক্ত আমাদের পূর্ব পুরুষের মৌরশী এ জমিগুলো পুনরায় চাষাবাদের আওতায় আসবে। পটিয়া পৌরসভার সাবেক কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন সানু জানান, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা এবং খাল খনন করে পরিত্যক্ত জমিগুলোকে চাষাবাদের আওতায় আনা। বর্তমানে এলজিইডি আমাদের এ খালে দয়াপরবশ একটি সেতু নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করায় এলাকার কৃষক নয়, শত শত মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। আমি আশাবাদী এবার আমাদের অনাবাদী প্রায় ১০০ একর জমিতে নতুন করে বিভিন্ন মৌসুমে শুধু ধান নয়, রবি শস্যও উৎপাদন করা যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোরো
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ