নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এএফসি এশিয়ান কাপ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাই পর্বের ‘ই’ গ্রæপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে হারিয়ে শুভসূচনা করলো স্বাগতিক বাংলাদেশ। অন্যদিকে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ইয়েমেনের কাছে বিধ্বস্ত হলো ভুটান। বুধবার সন্ধ্যায় কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ২-১ গোলে হারায় সিঙ্গাপুরকে। ম্যাচ যখন ড্রয়ের পথে যাচ্ছিল ঠিক তখনই জয়সূচক গোলটি পেয়ে যায় বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে বাংলাদেশ কিশোর দল। ম্যাচের ৩ মিনিটে বাংলাদেশ ফরোয়ার্ড নাজিম উদ্দিনের শট সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষক আইজ্যাক লি’র গায়ে আটকে না গেলে এগিয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ। অবশ্য সাত মিনিট পরেই সাফল্য পায় বাংলাদেশের কিশোররা। ১০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নাজিম উদ্দিন ক্রস করেছিলেন বক্সে থাকা মিরাজুলের ইসলামের দিকে। নাজিমের সেই ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে বল জড়ান সিঙ্গাপুর ডিফেন্ডার ব্রেয়ডেন গোহ (১-০)। ১৫ মিনিটে আবার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। ডানপ্রান্ত থেকে মিরাজুলের কোনাকুনি শট ঠেকান প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। ২০ মিনিটে অল্পের জন্য রক্ষা বাংলাদেশের। সিঙ্গাপুর মিডফিল্ডার জোনান টানের কাটব্যাক বাংলাদেশ অধিনায়ক ইমরান খানের পায়ে লেগে পোস্টে ঢোকার মুখে হেডে বিপদমুক্ত করেন সিরাজুল ইসলাম রানা। ২৬ মিনিটে মিরাজুলের বাঁকানো ফ্রি-কিক অল্পের জন্য খুঁজে পায়নি জাল।
বাংলাদেশের আক্রমণ ঠেকিয়ে পাল্টা আক্রমণে ২৮ মিনিটে সমতায় ফেরে সিঙ্গাপুর। এসময় রাসুল রামলির পাস থেকে দূরপাল্লার শটে গোল করেন মুহাম্মদ শাইজোয়ান (১-১)। বিরতির পরও লাল সবুজদের দাপট বজায় থাকে। একের পর সুযোগ পেলেও কিছুতেই দ্বিতীয় গোলের দেখা পাচ্ছিলো না বাংলাদেশ। অবশেষে গোলের দেখা মিললো, সঙ্গে মূল্যবান জয়ও আসলো। ম্যাচের যোগকরা সময়ে (৯০+৮ মিনিট) রাতুলের লম্বা থ্রো ক্লিয়ার করতে হেড করেছিলেন সিঙ্গাপুরের এক খেলোয়াড়। কিন্তু তার ব্যাক হেড গোলরক্ষক আইজ্যাক লি শুরতে ধরলেও পরে হাত ফসকে বল জালে জড়ায় (২-১)। শুক্রবার একই ভেন্যুতে ভুটানের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে লাল-সবুজরা। ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়।
এর আগে একই ভেন্যুতে বিকালে উদ্বোধনী ম্যাচে ইয়েমেন ৮-০ গোলে উড়িয়ে দেয় ভুটানকে। ম্যাচের প্রথমার্ধে ৫-০ ব্যবধানে এগিয়ে চালকের আসনে ছিল বিজয়ীরা। ম্যাচের শুরু থেকে গোল পেতে মরিয়া ইয়েমেন ১১ মিনিটে এগিয়ে যায়। এসময় সতীর্থের ক্রসে ফাঁকায় দাঁড়ানো আব্দুল রহমান আব্দুলাহ শটে গোল করেন (১-০)। পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে ইয়েমেন। ম্যাচের ১৬ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে সাঈদ আব্দুল্লাহর ক্রস ছয় গজ বক্সের ভেতর থেকে ভুটানি ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে না পারায় ফাঁকায় বল পান আব্বাস কাশেম। দেখে শুনে তিনি শট নিলে পরাস্ত হন ভুটানের গোলরক্ষক (২-০)। ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে ২১ মিনিটে মোহাম্মদ খালেদ গোল করে ব্যবধান ৩-০ করে। ৪১ মিনিটে চতুর্থ গোল পায় ইয়েমেন। এবার গোল করেন আব্দুল নবী (৪-০)। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ইয়েমেনকে ৫-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন ওয়াহিব নোমান। দ্বিতীয়ার্ধেও মাঠে চলে ইয়েমেনের আধিপত্য। ৬২ মিনিটে আব্দুল নবীর কোনাকুনি শট ভুটানের গোলরক্ষক ফিস্ট করে ফেরালেও ফিরতি বলে হেডে গোল করেন বদলি নামা মোহাম্মদ আমির (৬-০)। ৭৪ মিনিটে আনোয়ার হোসেনের কোনাকুনি মাপা শটে সপ্তম গোল পায় ইয়েমেন। ৮৫ মিনিটে বদলি ফরোয়ার্ড আহমেদ আদেল গোল করলে ৮-০ ব্যবধানের বড় জয় নিশ্চিত হয় ইয়েমেনের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।