Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মোরেলগঞ্জে এক শিক্ষক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে চাকরি দেবার নামে হাতিয়ে নিলেন ৯ লক্ষ টাকা

মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০২২, ২:০৩ পিএম

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক শিক্ষক চাকরি দেবার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিলেন ৯ লক্ষ টাকা।

উপজেলার ৯৫ নং বড়ইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ নাসির উদ্দিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।ভুক্তভোগী শিশির কুমার সাহা এ ব্যাপারে বাগেরহাট -৪ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. আমিরুল আলম মিলনের কাছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। সংসদ সদস্য অভিযোগ পত্রটি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জালাল উদ্দীনের কাছে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রেরন করেন।

এ ব্যাপারে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে উক্ত কমিটিকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন উক্ত
কর্মকর্তা।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মোরেলগঞ্জ উপজেলার ৯৫ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ঠাকুরাইনতলা গ্রামের মোঃ সেকেন্দার আলী হাওলাদারের পুত্র মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার বিভিন্ন দপ্তরের বড় বড় পদে তার আত্মীয়-স্বজন আছে বলে প্রচার করেন। এভাবে নিশ্চিত চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

বাগেরহাটের নাগেরবাজার এলাকার মৃত সুধীর কুমার সাহার ছেলে শিশির কুমার সাহা। ওই অভিযোগ পত্রে ভুক্তভোগী শিশির কুমার সাহা আরও জানান, পূর্ব পরিচিত হওয়ায় শিক্ষক নাসির তার পিতা মোঃ সেকেন্দার আলীকে সঙ্গেনিয়ে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বাগেরহাট শহরের নাগেরবাজারে জনৈক ব্যক্তির চায়ের দোকানে আসেন। সেখানে আলাপকালে শিশির কুমার সাহার একজন নিকটাত্মীয়ের চাকরি নিশ্চিত বলে বিভিন্ন লোভ-লালসা দেখায় তাকে। একপর্যায়ে বিশ্বাস করে ওইদিন কয়েকজন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে ৩ লাখ টাকা প্রদান করেন শিক্ষক নাসিরকে এবং নাসিরের কাছ থেকে তার পিতার সোনালী ব্যাংকের হিসাবের মুক্তিযোদ্ধা ভাতাউত্তোলনের সমপরিমাণ টাকার চেক গ্রহণ করেন। এভাবে বিভিন্ন উপায়ে কয়েক কিস্তিতে শিশির সাহার কাছ থেকে শিক্ষক নাসির ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। এক পর্যায়ে শিশির কুমার সাহাকে ঢাকায় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সচিব পরিচয়ে জনৈক আলমগীর নামের এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। পরে চলতি বছরের জুলাই মাসে নাসিরের কথামত শিশির সাহা আলমগীর নামের ওই ব্যক্তির এলিফ্যান্ট রোডের একটি ব্যাংক হিসাবে নম্বরে ৫০ হাজার টাকা পাঠান। পরে জানতে পারেন ওই আলমগীর হোসেন তার আপন ভগ্নিপতি।
এভাবে মোট ৯ লাখ টাকা প্রদান করেন বলে জানান তিনি।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জালাল উদ্দীন জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য গত বৃহস্পতিবার ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।এ ব্যাপারে ওই শিক্ষকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অভিযোগ কারীদের কাছে আমি ৯ লক্ষ টাকা পাবো তারা আমার কাছে কোন টাকা পাবে না।
প্রসঙ্গত, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাকরির প্রলভনে এর আগেও বিভিন্ন দপ্তরে কয়েকটি অভিযোগ দাখিল হয়েছিল সেগুলো তদন্তাধীন রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগে একাধিক বিভাগীয় মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রতারণা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ