মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে কর্ণাটকের উদুপি শহরে ডানপন্থী সংগঠন হিন্দু জাগরণ বেদিকের প্রায় ১০ হাজার কর্মীর সমন্বয়ে একটি বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ থেকে একটি হিন্দু রাষ্ট্রের আহ্বান জানানো হয়। কিছু কর্মীকে তলোয়ার বহন করতে দেখা গেছে, এমনকি রাজ্য পুলিশ তাদের পাশাপাশি হাঁটছে। উদুপির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বিধায়ক রঘুপতি ভাটকেও সমাবেশে অংশ নিতে দেখা গেছে।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, ভাট উদুপি গার্লস গভর্নমেন্ট পিইউ কলেজের কলেজ ডেভেলপমেন্ট কমিটির (সিডিসি) সভাপতি যা ভারতে হিজাব ঘটনার কেন্দ্র ছিল। সমাবেশটি স্থির হওয়ার সাথে সাথে শ্রীকান্ত শেঠি কারকালা নামে একজন উদুপি-ভিত্তিক টেলিভিশন রিপোর্টার একটি সূচনা বক্তব্য রাখেন। তিনি হিন্দু রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখলে সকল হিন্দুকে অস্ত্র বহন করতে বলেন।
শেঠি বলেন, ‘প্রতিটি হিন্দু পরিবারে একটি অস্ত্র থাকা উচিত। আয়ুধ পূজার সময় হিন্দুদের সাইকেল, মিক্সার বা গ্রাইন্ডারের পূজা করা উচিত নয়, বরং তাদের অস্ত্রের পূজা করা উচিত। আসুন আমরা সেসব অস্ত্র ব্যবহার করার মানসিকতা গড়ে তুলি’।
রাজ্যে চলমান হিজাব ইস্যুকে সম্বোধন করে শেঠি হিন্দু জাগরণ বেদিকের প্রশংসা করে বলেন, এটি ডানপন্থী দল যা হিন্দু ছেলেদের তাদের মুসলিম সহপাঠীদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে প্ররোচিত করে। ‘হিন্দু জাগরণ বেদিকে তাদের (হিজাবি মুসলিম মেয়েদের) আসল রং উন্মোচিত করেছে’ শেঠি ১০ হাজার জনেরও বেশি মানুষের সমাবেশে বলেন।
‘গেরুয়া পেট্টা (পাগড়ি) এখন কলেজগুলোতে দেখা যায়। এটি ফ্যাশনের জন্য পরিধান করা হয় না, বরং ইঙ্গিত দেয় যে, সমাজ পরিবর্তন হচ্ছে এবং সচেতনতা রয়েছে। যদি ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা হয়, শুধু গেরুয়া পাগড়ি নয়, আপনি হাজার হাজার তলোয়ার দেখতে পাবেন’ শেঠি যোগ করেন।
গুজরাটের আরেক বক্তা কাজল বেন শিঙ্গালা মুসলিম ব্যবসা বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সম্প্রদায়কে লাভ জিহাদে অভিযুক্ত করেন এবং দেশে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের দায়ী করেন।
কাজল বলেন, ‘আপনি তাদের যে টাকা দেন, সেই টাকা দিয়ে তারা আপনার মেয়েদের নিয়ে পালিয়ে যায়। একই অর্থ দিয়ে, তারা অস্ত্র ও বারুদ কিনে, প্রশিক্ষণ শিবির চালায় এবং ছেলেদের জিহাদি হওয়ার জন্য প্রস্তুত করে যাতে তারা মানুষের শিরñেদ করতে পারে’।
হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক প্রচার করে এমন বলিউডের সিনেমাগুলোকে টার্গেট করেছেন কাজল। শীর্ষ পরিচালক/প্রযোজক করণ জোহরকে উদ্দেশ করে কাজল বলেন, ‘দক্ষিণ ভারতে মন্দির নিয়ে সাংস্কৃতিক পরিবেশ রয়েছে, কিন্তু করণ জোহর মন্দির দেখাবেন এবং আলি মওলা বলবেন। তাকে দক্ষিণে প্রবেশ করতে দিও না’। সূত্র : সিয়াসাত ডেইলি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।