মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের ফলে আমেরিকার অবক্ষয় দ্রুততর হয়েছে এবং ২০২০ সালের মধ্যে এই দেশটির শক্তিমত্তার অবসান ঘটবে। এসব কথা বলেছেন নরওয়ের একজন্য প্রফেসর যাকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়েছিলো। সমাজবিজ্ঞানের প্রফেসর জন গ্যালটুং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের ভবিষ্যদ্বাণী করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন। শান্তি সম্পর্কিত বিদ্যা বা পিস স্টাডির জনক হিসাবে সুপরিচিত এই প্রফেসর অসংখ্য ঐতিহাসিক ঘটনা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেন যেগুলো পরে সত্যিই ঘটেছে। তার ভবিষ্যদ্বাণীর মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন, চীনের তিয়ানানমেন স্কোয়ারের বিক্ষোভ, ৯/১১-এর হামলা ইত্যাদি ছিলো অন্যতম। সেই প্রফেসর গ্যালটুং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে আমেরিকার বিশ্বব্যাপী শক্তিমত্তা ক্রমবর্ধমান হারে হ্রাস পেতে থাকবে এবং তিনি ক্ষমতায় থাকতেই তা ধসে পড়বে। এর আগে ২০০০ সালে যখন তিনি পূর্বাভাস দেন যে ২০২৫ সালের মধ্যে আমেরিকার ক্ষমতা ধসে পড়বে তখন ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তবে বুশ প্রশাসনের শাসনকালে তিনি তার পূর্বাভাসে সামান্য পরিবর্তন এনে বলেন, ২০২৫ নয়, ২০২০ সালের মধ্যেই দেশটির ক্ষমতা নিঃশেষিত হবে। এখন তিনি বলছেন, বাগাড়ম্বরসর্বস্ব বিলিওনেয়ারের নির্বাচনের পর বাস্তবেই আমেরিকার ধস শুরু হয়ে গেছে। প্রফেসর গ্যালটুং ২০০৯ সালে প্রকাশিত তার দ্য ফল অব দি অ্যামেরিকান এম্পায়ারÑ অ্যান্ড দেন হোয়াট নামের গ্রন্থে আমেরিকার পতনের চূড়ান্ত পর্বে যেমনটা ঘটবে বলে অনুমান করেছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন-বিরোধী অবস্থান থেকে বিজয় সেই ধারণারই প্রতিফলন। তিনি ওই গ্রন্থে বলেছিলেন যে, আমেরিকার শক্তিমত্তা অবসানের আগে দেশটিতে ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটবে। নব-নিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর যত শিগগির সম্ভব আমেরিকা থেকে ৩০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে বের করে দেয়া এবং মেক্সিকো সীমান্তে দেযাল নির্মাণের অঙ্গীকার করেছেন। প্রফেসর গ্যালটুং মাদারবোর্ড নামের একটি প্রযুক্তি বিষয়ক অনলাইন বার্তা সংস্থাকে বলেন, ন্যাটোর প্রতি ট্রাম্পের সমালোচনামূলক মনোভাব থেকেও এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে, আমেরিকা একটি সুপারপাওয়ার হিসাবে সীমিত হয়ে আসবে। ট্রাম্প এর আগে এমন ইঙ্গিত দেন যে, ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো নির্ধারিত প্রতিরক্ষা ব্যয় দিতে ব্যর্থ হলে যুক্তরাষ্ট্র হয়ত তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে না। ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।