Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুর্গাপূজায় গান্ধীকে অসুর সাজানো নিয়ে কলকাতায় বিতর্ক তুঙ্গে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০২২, ৭:৪৩ পিএম

ভারতের দক্ষিণ কলকাতার একটি পূজামন্ডপ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। সেখানে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে হিন্দুদের দেবী দুর্গার অসুর হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার রুবি পার্কের পূজায় দেখা গেছে, দেবী দুর্গা অসুররূপী গান্ধীকে হত্যা করছেন। পূজার উদ্যোক্তা ভারতের দক্ষিণপন্থী অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা; যার নেতা নাথুরাম গডসে ১৯৪৮ সালে গান্ধীকে হত্যা করেছিলেন। -আনন্দবাজার

তিনি আরেক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘেরও (আরএসএস) সদস্য ছিলেন। গান্ধীকে অসুর সাজানো নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠতেই বদলে গেছে রুবি পার্কের অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার দুর্গাপূজার ‘অসুর’-এর চেহারা। সপ্তমীর রাতে চুল আর গোঁফ লাগিয়ে চেহারা পুলিশ বদলে দিয়েছে বলে দাবি পূজা উদ্যোক্তাদের।এই পরিবর্তন যে তাদের একেবারেই পছন্দ নয়, সেটাও জানিয়েছেন পূজা কমিটির লোকজন। এর প্রতিবাদে পূজামণ্ডপের সামনেই অষ্টমীতে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন তারা। তারা এও জানিয়েছেন, পূজার মূল উদ্যোক্তা চন্দ্রচূড় গোস্বামী। বিষয়টি নিয়ে তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার বক্তব্য, আইনি পথেই তার মোকাবিলা করা হবে।

গতকাল রবিবার থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে রুবি পার্কের অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার দুর্গাপূজার ছবি। তাতে দেখা যায়, ওই পূজার দুর্গা প্রতিমার সঙ্গে যে অসুর মূর্তি রয়েছে তার টাকমাথা এবং চোখে চশমা।পাশাপাশি, মূর্তিটিকে পরানো হয়েছে সাদা ধুতি। অভিযোগ উঠতে শুরু করে, ওই পূজায় যে অসুর মূর্তি তৈরি করা হয়েছে তার সঙ্গে মহাত্মা গান্ধীর চেহারার দারুণ মিল রয়েছে। এই অসুর মূর্তি ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত।

চন্দ্রচূড়ের দাবি, রবিবার অর্থাৎ সপ্তমীর সন্ধ্যায় পুলিশ গিয়ে ‘জোর করে’ বদলে দিয়েছে অসুরের মূর্তি। ওই অসুর মূর্তির মাথায় লাগানো হয়েছে চুল। লাগানো হয় গোঁফও। চশমাও খুলে নেওয়া হয়। অর্থাৎ ওই অসুর পূজার শুরু থেকে যা ছিল, সপ্তমীর সন্ধ্যায় তা বদলে গিয়েছে অনেকটাই। চন্দ্রচূড়ের দাবি, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ কসবা থানার পুলিশ এসে জোর করে অসুরের মূর্তিতে চুল লাগিয়ে দিয়েছে। না হলে পূজা বিসর্জন দিয়ে দিতে হবে বলে পুলিশ আমাদের জানিয়েছিল। তাদের ওপর নাকি কেন্দ্র থেকে প্রচুর চাপ দেওয়া হচ্ছে। লালবাজারেও নাকি চাপ দেওয়া হয়েছে। আমার কাছেও ফোন এসেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে।

ফোনে বলা হয়েছে, গান্ধীর ব্যাপারে এসব বিতর্ক করাই যাবে না। বলা হয়েছে, আমি গ্রেপ্তার পর্যন্ত হতে পারি। আমি তাদের পাল্টা বলেছি, গ্রেপ্তার হলে এবা। আমি সত্যি কথা বলতে ভয় পাই না। মূর্তি বদলের প্রতিবাদে আমরা অবস্থান বিক্ষোভ করছি পূজামণ্ডপেই।
সূত্র: আনন্দবাজার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ