Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নোয়াখালীতে ১৭২ মিলিমিটার বৃষ্টি, জলাবদ্ধতায় বিপাকে স্থানীয়রা

নোয়াখারী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০২২, ৬:০১ পিএম

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে টানা বর্ষণের কবলের পড়েছে নোয়াখালী। কখনও ভারি ও কখনও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে ১৭২ মিলিমিটার, যা সারাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি। টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে নোয়াখালী পৌর এলাকার মাইজদীসহ আস পাশের এলাকাগুলো। এতে পানিবন্ধি হয়ে বিপাকে পড়েছেন হাজার-হাজার মানুষ।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রোববার বিকেল থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হয়। রোববার রাত ও সোমবার সকালে বৃষ্টির মাত্রা বাড়তে থাকে। টানা বৃষ্টির কারনে জেলার প্রধান সড়ক ছাড়া পৌর এলাকার বেশির ভাগ সড়কে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে গেছে। সড়ক থেকে পানি না নামায় যান চলাচল ব্যহত হচ্ছে।

দূর্ভোগ নিয়ে চলাচলকারী কয়েকজন জানান, রোববার রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে। সোমবার সকাল ও দুপুরেও টানা বৃষ্টি হয়েছে। যার প্রভাবে জেলা শহর মাইজদীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে নোয়াখালী প্রেসক্লাব, জজকোর্ট, লক্ষ্মীনারায়ণপুর, মাস্টারপাড়া, নোয়াখালী কলেজ রোড, হরিনারায়ণপুর, ফকিরপুর ও মধুপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ওই এলাকাগুলোতে পানি জমে থাকায় কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। সড়কগুলোতে পানি জমে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে বেগ পেতে হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়েছে পথচারি ও যাত্রীরা। অনেকের বাসা-বাড়ি ও দোকানে পানি ঢুকে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌর এলাকায় অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকা ও এলাকাভিত্তিক ড্রেনের অভাবে শহরের বাসিন্দারা অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছে। জলাবদ্ধতার বিষয়ে একাধিকবার পৌর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তারা।

নোয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সুজিত বড়–য়া বলেন, পরিচ্ছন্ন কর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে কাজ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য করছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানি দ্রুত সময়ের মধ্যে নেমে যাবে। এ ছাড়া শহরের জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসনের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ১৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। আগামী ৪২ঘন্টা বৃষ্টিপাত অপরিবর্তিত থাকবে বলে ধারণা এ কর্মকর্তার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিপাকে স্থানীয়রা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ