নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিল বাংলাদেশ নারী দল। অনেকটা ডেম কেয়ার ছিল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠসহ সার্বিক পরিবেশ প্রতিবেশ ছিল অনুকূলে। দাপুটে জয় দিয়ে নিজের শুভ সূচন্ওা করেছিল তারা। পাকিস্তানকে বধ করতে পারবে এমন বিশ^াস ছিল ক্রিকেট বোদ্ধাদের। কিন্তু না পাললো না ! ছন্দেও পাকিস্তানের সাথে পতন ঘটল স্বাগতিকদের। ৯ উইকেটে হার মানলো নিগার সুলতানার দল। আফসোস ! টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটাই হয় তথৈবচ। পাক বোলার ডায়ানা বেগ আর সাদিয়া ইকবালের তোপে শুরুর দুই ওভারে দুই ওপেনারকে খুইয়ে বসে স্বাগতিকরা। এরপর দলের তৃতীয় রানটা তুলতে বিদায় নেন আরেক ব্যাটার রুমানা আহমেদও। এরপর লতা মন্ডলকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক নিগার সুলতানা পরিস্থিতিটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে ২৬ রান করে সেই জুটিও ভাঙে লতার বিদায়ে। অধিনায়ক নিগার অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সালমাকে সঙ্গে নিয়ে আরও একটা ছোট জুটি গড়েন, তবে দলীয় ৪২ রানে বিদায় নেন তিনিও। এরপর বাংলাদেশি ব্যাটারদেও কেবল ছিল আসা যাওয়া। এরমধ্যে সালমা খেলেন ২৯ বলে ২৪ রানের ইনিংস। যার ফলে ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহটা দাঁড়ায় ৭০-এ। জবাবে পাকিস্তান প্রথম ওভারেই সংগ্রহ করে ১৩ রান। সফরকারীদের অভিপ্রায়টা প্রকাশ পেয়ে গিয়েছিল তখনই। মুনিবা আলী আর সিদরা আমিনের কল্যাণে পাকিস্তানকে এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ৬ ওভার শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলে ফেলে ৪০ রান। তাতে ১০ উইকেটের ব্যবধানে হারের শঙ্কাটাও পেয়ে বসে বাংলাদেশ দলে। সে শঙ্কাটা অবশ্য বাস্তবে রূপ নেয়নি। ৪৯ রানে সালমা খাতুনের বলে মুনিবা আলী ফেরেন ১৯ বলে ১৪ রান করে। তবে বাকি রানটা পাকিস্তান অনায়াসেই টপকে যায় সিদরা আর বিসমাহর ব্যাটে চড়ে। ৯ উইকেটে জয় নিয়ে শীর্ষস্থানটাও পাকাপোক্ত করে ফেলে পাকিস্তান। আর নেট রান রেটে পিছিয়ে বাংলাদেশ চলে যায় পয়েন্ট তালিকার তৃতীয়তে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।