এরলিং হ্যালান্ড। বয়স মাত্র ২২।তবে এরই মধ্যে অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতায় নিজেকে বর্তমান সময়ের অন্যতম স্ট্রাইকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন।গোলের পর গোল করে প্রতি ম্যাচেই নিজেকেই নিয়ে যাচ্ছেন অনন্য উচ্চতায়। আজকের ম্যানচেস্টার ডার্বিতে তার আগুন ঝরা পারফর্ম্যান্সে জ্বলে পুড়ে ছাই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।তার সাথে গোল উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন ফিল ফোডেন।এই দুজনের হ্যাট্রিকে ইউনাইটেডকে ৬-৩ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।

সিটির ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণের পসরা সাজিয়ে ইউনাইটেডকে চাপে রাখে ফোডেন-হ্যালান্ডরা। ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় বা প্রান্ত দিয়ে বার্নার্দো সিলভার লো ক্রসে থেকে পাওয়া বল জালে জড়িয়ে গোল উৎসবের শুরুটা করেন ফোডেন। এর পরের দু গোল আসে হ্যালান্ড এর পা থেকে। ৩৪ মিনিটে কর্নার থেকে দারুণ এক হেডে এবং মিনিট তিন পরেই ডিবক্সের সামনে থেকে ডি ব্রুইনার পাঠানো ক্রসে নিশানাভেদ করে ব্যবধান তিনগুণ করেন এই সিটি তারকা।

তবে এ ম্যাচে হ্যালান্ড থামার কোন নাম নেননি। কখনো নিজে গোল করেছেন, কখনো করিয়েছেন সতীর্থদের দিয়ে।বিরতির আগেই ফোডেনের করা দ্বিতীয় গোলে ছিলেন এসিস্টের ভূমিকায়।

প্রথমার্ধ শেষের আগেই ৪-০ গোলের লিড জানান দিচ্ছিল বহুল অপেক্ষার ডার্বি কতটা একপেশে বানিয়ে ফেলেছিল পোপ গার্দিওলার শিষ্যরা।বিরতির পরেও ম্যাচে সিটির আধিপত্য একটুও কমেনি।৫৬ মিনিটে অ্যান্টনির দূরপাল্লার শট জালে জড়ালে এক গোল শোধ করে ইউনাইটেড।পরের গল্পটা ফের সিটিময়। ৬৪ মিনিটে দলের পঞ্চম গোলটি করার পথে এবারের মৌসুমে নিজের তৃতীয় হ্যাটট্রিক পূরণ করেন হ্যালান্ড। ইতিহাদেই এসেছে এর সবকটি। এই গ্রীষ্মের সিটিতে যোগ দেওয়া হল্যান্ডের ১০ ম্যাচে গোলসংখ্যা ১৭! পাগলাটে গতিতে ছুটে চলা এই স্ট্রাইকার মৌসুম শেষ হতে হতে কোথায় গিয়ে থামবেন তা অনুমান করে বলাও মুশকিল।আট মিনিট পরেই হ্যাট্রিকে নিজের নাম লেখান ফিল ফোডেনও।

৬-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যানইউ তখন বড় হারের শঙ্কায় ছিল।শেষদিকে মার্সিয়ালের জোড়া গোলে কিছুটা সম্মান সাথে নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে এরিক টেন হেগের দল। দুই দল মিলিয়ে এই ম্যাচের গোল সংখ্যা ছিল ৯, ম্যানচেস্টার ডার্বির ইতিহাসে এত গোল আগে কখনো হয়নি।

মূল একাদশে অনেক আগেই জায়গা হারানোর রোনালদোকে এদিন শেষ দিকেও মাঠে নামাননি ম্যানইউ বস।ডাগআউট বসেই দলের ভরাডুবি দেখে গেছেন এই পর্তুগিজ তারকা।

আট ম্যাচে ৭ জয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল।বড় জয়ে তাদের সঙ্গে ব্যবধান কমাল সিটি। ৬ জয় ও ২ ড্রয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে তারা। এক ম্যাচ কম খেলা ইউনাইটেড ১২ পয়েন্ট নিয়ে আছে ষষ্ঠ স্থানে।