পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : মিছিল করে এসে বাড়ী ঘেরাও করে দেড়ঘণ্টাব্যাপী তা-ব চালিয়ে সফল ডাকাতি করে নির্বেঘেœ পালিয়ে গেছে অর্ধশত মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাত। বাড়ীর গৃহবধূ ও গৃহকন্যাদেরকে মারধোর করে লুট করে নিয়ে গেছে ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ কমবেশি ২০ লাখ টাকার মালামাল। ডাকাতদের বেধড়ক পিটুনীতে মিলি নামে এক গৃহকন্যাসহ ৩ জন আহত হয়েছে। গত বুধবার দিবাগত রাতে পলাশ উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের মৃত নুরু মাস্টারের বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতিটি সংঘটিত হয়েছে। এই ডাকাতির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গ্রামের মানুষের মধ্যে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সার্বক্ষণিক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন গুজরান করছে গ্রামের সাধারণ মানুষ।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছে পারুলিয়া গ্রামের মরহুম নুরু মাস্টারের ছেলে সবুজ ও শাকিল, রাসেল ও জনি নামে ৪ ভাই সিঙ্গাপুরে প্রবাসী জীবন যাপন করে। কিছুদিন পূর্বে শাকিল দেশে এসে বিয়ে করে বউকে বাড়ীতে রেখে পুনরায় সিঙ্গাপুর কর্মস্থলে চলে যায়। বুধবার রাত অনুমান আড়াইটায় কমবেশী অর্ধশত মুখোশধারী ডাকাত একটি নিরব মিছিল নিয়ে নূরু মাস্টারের বাড়িতে উপস্থিত হয়। ডাকাতরা প্রথমে বাড়ীর কলাপসিবল গেইট ভেঙে বারান্দায় ঢুকে। পরে তারা শাবল দিয়ে কাঠের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে বাড়ীর গৃহবধূ ও গৃহকন্যাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে ফেলে। পরে ডাকাতরা বাড়ীর লোকজনের কাছে আলমিরার চাবি দাবি করলে প্রবাসী ছেলেদের বউরা প্রাণের ভয়ে চাবি দেয়। আলমীরা খুলে ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৮০ হাজার টাকা, ৮টি বিদেশি মোবাইল সেট, কাপড়-চোপড়, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী লুট করতে থাকে। এসময় নূরু মাস্টারের কন্যা মিলি ডাকাতদের বাধা দিলে ডাকাতরা তাকে বেধড়ক মারধোর করে। এসময় বাড়ীর লোকজন চিৎকার করতে থাকলে ডকাতরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সকালে পলাশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে পলাশ থানার ওসির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।