গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অভিষেক ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেডিকেল কলেজটির অধ্যাপক ডা. মাহমুদা হাসান তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান। অনুষ্ঠানে আদ-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের (নবম ব্যাচ) ৫৬ জন শিক্ষার্থী এমবিবিএস সম্পন্ন করে ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
শনিবার (১ অক্টোবর) আদ-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের জাতীয় অধ্যাপক ইব্রাহীম লেকচার থিয়েটারে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে ইন্টার্ন পিরিয়ডের নিয়ম-নীতি এবং লগ বুক সম্পর্কে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা দেন আদ-দ্বীন হাসপাতালগুলোর মহা-পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘আদ-দ্বীন হাসপাতাল দেশের অন্যতম ব্যস্ত একটি হাসপাতাল। স্বল্প খরচে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা প্রদান করাই আদ-দ্বীনের লক্ষ্য। এখানে সবধরনের রোগী সেবা নিতে আসে। সবাইকে সঠিকভাবে সেবা দিয়ে ভালো চিকিৎসক হওয়ার পাশাপাশি ভালো মানুষ হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আদ-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আশরাফ-উজ-জামান বলেন, 'তোমরা দীর্ঘ শিক্ষা জীবন শেষ করে ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে পেশা জীবনে প্রবেশ করেছো। এখনও তোমাদের স্বপ্ন পূরণ হয়নি, স্বপ্ন পূরণের তীরে এসেছো মাত্র। এই সময়টি তোমাদের শেখার সময়। তাই বিন্দুমাত্র অবহেলা না করে প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগাতে হবে। ভালোভাবে ইন্টার্ন শেষ করে আদ-দ্বীনের মুখ উজ্জ্বল করতে হবে।'
সভাপতির বক্তব্যে আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ আব্দুস সবুর বলেন, 'একাডেমিক পড়ালেখা শেষ করে ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে পেশা জীবনে প্রবেশের মাধ্যমে তোমাদের দায়িত্ব বহুগুনে বেড়ে গেছে। তোমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে।হাসপাতাল হলো চিকিৎসকদের সেকেন্ড হোম। যারা হাসপাতালে যত বেশি সময় দেবে তারা তত বেশি শিখবে। সিনিয়র চিকিৎসক ও নার্সদের সাথে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে।' এ সময় তিনি পেশাগত জীবনে সকলের সফলতা কামনা করেন।
অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ আব্দুস সবুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পেডিয়েট্রিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এআরএম লুৎফুল কবীর, মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. খায়রুল ইমাম, গাইনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হোসনে আরা খাতুন, সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সরদার মো. রেজাউল ইসলাম প্রমূখ। এ সময় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।