Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০২ এএম

বিগ ব্যাশ ফ্র্যাঞ্চাইজি মেলবোর্ন স্টার্সের নিয়মিত মুখ হারিস রউফ। সবশেষ তিন আসরেই খেলেছেন তিনি দলটির হয়ে। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড তাই পাকিস্তানের এই পেসারের কাছে ঘরের মাঠের মতো। অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে তাদের লড়াইও সেখানেই। ম্যাচটিকে ঘিরে উচ্ছ¡াসের শেষ নেই রউফের।
চিরপ্রতিদ্ব›দ্বীদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টির আসছে বৈশ্বিক আসরের শিরোপা ঘরে তোলার অভিযানে নামবে পাকিস্তান। আগামী ২৩ অক্টোবর মাঠে গড়াবে সুপার টুয়েলভ পর্বের হাইভোল্টেজ ম্যাচটি।
মেলবোর্ন স্টার্সের হয়ে বিগ ব্যাশে রউফের অভিষেক ২০১৯-২০ আসরে। প্রথম মৌসুমেই দুর্দান্ত বোলিংয়ে আলো ছড়ান তিনি। ১০ ম্যাচ খেলে নেন ২০ উইকেট। এর মধ্যে ছিল সিডনি থান্ডারের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক ও হোবার্ট হারিকেন্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটের কীর্তি। পরের দুই মৌসুমেও দলটির প্রতিনিধিত্ব করেন রউফ। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে ১৮ ম্যাচ খেলা এই ফাস্ট বোলারের নামের পাশে রয়েছে ৩০ উইকেট।
মেলবোর্ন সহ অস্ট্রেলিয়ার আরও অনেক মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা আছে রউফের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম টি-টোয়েন্টির পর সংবাদ সম্মেলনে বললেন, এখন থেকেই ভারত ম্যাচ নিয়ে ছক কষছেন তিনি, ‘আমি যদি সেরাটা দিতে পারি, তারা (ব্যাটসম্যানরা) আমাকে সহজে খেলতে পারবে না। আসছে বিশ্বকাপের ম্যাচটিকে (ভারতের বিপক্ষে) নিয়ে আমি খুবই খুশি, কারণ এটা হবে মেলবোর্ন ক্রিকেট মাঠে। এটা আমার ঘরের মাঠ, কারণ আমি মেলবোর্ন স্টার্সের হয়ে খেলি। এখানকার কন্ডিশন কেমন এই ধারণা আমার আছে। ভারতের বিপক্ষে কেমন বোলিং করব, আমি এরই মধ্যে পরিকল্পনা করা শুরু করে দিয়েছি।’
অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে রউফ কিছুটা ধারণা দিলেন সেখানে বোলিং করার কৌশলের, ‘অস্ট্রেলিয়ায় দুই বছর আমি ফার্স্ট-গ্রেড ক্রিকেট খেলেছি। দেখেছি, বাইরে বল দিলে সেখানকার ব্যাটসম্যানরা কাট ও পুল শট খুবই ভালো খেলে। আমার লক্ষ্য থাকতো হার্ড লেংথে স্টাম্পে বল করা, যা খুবই কার্যকর কৌশল। কারণ গতিময় লেংথ বলে ব্যাটসম্যানরা যখন মিডউইকেটে খেলতে যাবে, সেটা উইকেট এনে দিতে পারে। বিগ ব্যাশে আমি সবসময় হার্ড লেংথে বল করার চেষ্টা করতাম। কারণ আমার অধিনায়ক গেøন ম্যাক্সওয়েল সবসময় মিড-অন ও মিড-অফ উপরে রাখত আর আমাকে বলত, যে এই জায়গাগুলো দিয়ে খেলতে চাইবে তার আউট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।’
ভারতের বিপক্ষে রউফ প্রথম খেলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। প্রতিবেশী দেশকে উড়িয়ে দেওয়া ম্যাচে ২৫ রানে ১ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। বৈশ্বিক আসরে ভারতকে প্রথমবার হারানোর ম্যাচে বেশ চাপে ছিলেন এই পেসার, ‘ব্যাটসম্যানরাও বোলারদের পড়ার চেষ্টা করে। তাই ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা কঠিন করে তুলতে বিভিন্ন জিনিস চেষ্টা করতে হয়। ভারতের বিপক্ষে গত বিশ্বকাপের ম্যাচে আমি চাপে ছিলাম। কিন্তু সবশেষ দুই ম্যাচে (এশিয়া কাপে) কোনো চাপই অনুভব করিনি। জানি, যদি আমার সেরা বলটি করতে পারি তারা আমাকে সহজে খেলতে পারবে না।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ