Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পিএফআইকে নিষিদ্ধ প্রশংসনীয় উদ্যোগ

বিবৃতিতে আজমির দরগাহর দেওয়ান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০২ এএম

আজমির দরগাহর দেওয়ান জয়নুল আবেদিন আলি খান বুধবার পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই) এবং এর সহযোগীর পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধে কেন্দ্রের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং এটিকে একটি ‘প্রশংসনীয়’ সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘পিএফআইকে অনেক আগেই নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল। এ পদক্ষেপ প্রশংসনীয়’।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের ঐক্য ও অখÐতা বজায় রাখার জন্য দেশবিরোধী কর্মকাÐে লিপ্ত সব জামায়াতের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি তরুণদের এসব জামায়াতের শিকার না হয়ে জাতির স্বার্থে কাজ করার আহŸান জানান। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দেশ নিরাপদ থাকলেই আমরা নিরাপদ। দেশটি যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা ধারণার চেয়ে বড় এবং কেউ যদি এটিকে ভাঙার কথা বলে, এর শান্তি ও ঐক্য নষ্ট করার কথা বলে, তাহলে সে এখানে বসবাসের সব অধিকার হারাবে’। উল্লেখ্য, পিএফআই ২০০৬ সালে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্টের উত্তরসূরি হিসেবে কেরালায় শুরু হয়। এটি কর্ণাটক ফোরাম ফর ডিগনিটি অব কর্ণাটকের সাথে এবং তামিলনাড়–র মনিথা নীথি পাসরাইয়ের সাথে এবং পরে ২০০৯ সালে গোয়ার নাগরিক ফোরাম, পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমিতি, মণিপুরের লিলং সোশ্যাল ফোরাম এবং অন্ধ্র প্রদেশের অ্যাসোসিয়েশন অফ সোশ্যাল জাস্টিস, রাজস্থানের কমিউনিটি সোশ্যাল অ্যান্ড এডুকেশনাল ফোরামের সাথে একীভ‚ত হয়।
এর আগে ২০০৪ সালের ২৫ এবং ২৬ জানুয়ারি বেঙ্গালুরুতে দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্যগুলোর মুসলিম সমাজকর্মী এবং বুদ্ধিজীবীদের অংশগ্রহণে একটি আঞ্চলিক আলোচনার ফলাফল হিসাবে দক্ষিণ ভারত কাউন্সিলের সহযোগিতায় একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়। এটি সরকারে সংরক্ষণের বিষয়টি তুলে ধরে এবং বেসরকারী সেক্টরের চাকরি এবং সংসদ ও সমাবেশ এবং ভারতে মুসলিম ইনস্টিটিউশনের কনফেডারেশনের সহযোগিতায় এটি ২০০৫ সালের ২৬ এবং ২৭ নভেম্বর হায়দ্রাবাদে মুসলিম রিজার্ভেশনের ওপর দুই দিনের কর্মশালার আয়োজন করে, যার উদ্বোধন করেন রাজ্যসভার সদস্য রহমান খান।
তাদের কর্মকাÐের কারণে খুব দ্রæত সংগঠনটি মুসলিমদের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে হিন্দুত্ববাদী জঙ্গি সংগঠনগুলোর প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায় পিএফআই। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেআইন কর্মকাÐ (প্রতিরোধ) আইন (ইউএপিএ)-এর আওতায় আগামী ৫ বছরের জন্য সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এদিকে এর প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। তিনি বলেন, যে কারণ দেখিয়ে পিএ্ফআইকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে মূলত সে অভিযোগে আরএসএসকে আগে নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল। সূত্র : আইএএনএস, দ্য ওয়াল ও টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ