Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চীনের পারমাণবিক উচ্চাভিলাস বিশ্ব সম্প্রদায়কে উদ্বিগ্ন করছে

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৯:৫২ পিএম

১৯৪৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন গঠনের প্রাক্কালে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের ধ্বংসাত্মক শেষ পরিণতি ঘটাতে প্রথম পারমানবিক অস্ত্রের হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরবর্তী বছরগুলোতে শীতল যুদ্ধে সমতালে পরাশক্তি হিসাবে বিশ্বে অবস্থান দখলের লড়াই চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন। পারমাণবিক শক্তির দৌড়ে পাল্লা দিতে সেসময় চীন অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।

চীন তখন থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে কেবল বিশ্ব মঞ্চে অবস্থানের জন্য নয়, একটি নেতৃস্থানীয় সমর জাতি হওয়ার লড়াই করেছে। চীন এখন বিশ্বের বৃহত্তম সেনাবাহিনীর দেশ, ইতোমধ্যেই প্রচলিত সামরিক শক্তির শিখরে পৌঁছেছে এবং সম্ভবত পারমাণবিক শক্তি ও অস্ত্রের চ্যালেঞ্জের লক্ষ্যে ছুঁটছে।

সিঙ্গাপুর পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৬৪ সালে প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর পর থেকে বেইজিং পারমাণবিক শক্তিতে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। ১৯৬৬ সালে প্রথমবারের মতো সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাও চালায়।

দেশটির প্রতিরক্ষা বাজেটের আকার ২৩ হাজার কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। দেশটির পারমাণবিক শক্তির দ্রুত বিস্তার ইঙ্গিত করে যে বাজেটের একটি ভারী অংশ পারমাণবিক কৌশলের জন্য ব্যয় করা হচ্ছে। ২০১০ এর দশকের মাঝামাঝি থেকে দেশটি তার পারমাণবিক অস্ত্র ও অবকাঠামো তৈরি করছে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের তত্ত্বাবধান ও নির্দেশে, যা তার প্রতিপক্ষ রাষ্ট্রগুলোর জন্য বিপদের ঘণ্টা বাজিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের আধিপত্যের দৌড়ে যুক্তরাষ্ট্র যখন বিশ্ব নেতা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, তখনও চীন বিশ্ব মঞ্চে তার অবস্থান দখলের চেষ্টা চালিয়ে গেছে। কোনো দেশই চীনের মতো উন্নয়নে এভাবে এগিয়ে যেতে পারেনি।

যাহোক গত এক দশক ধরে চীন তার পারমাণবিক অস্ত্রাগারের উপর আরও বেশি জোর দিয়েছে এবং অস্ত্রাগার বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছে। এখন পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষেত্রে চীনের অবস্থান শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা এবং পাল্টা আক্রমণের মধ্যেই রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চীন এক দশকের মধ্যে তার সবচেয়ে গতিশীল নেতার অধীনে চীন-আমেরিকার শত্রুতার প্রেক্ষাপটে পারমাণবিক সক্ষমতাকে আধুনিকীকরণ এবং রূপান্তরের পথে রয়েছে। যদিও সংখ্যাগত দিক থেকে মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে কোন মিল নেই।দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার আন্তর্জাতিকভাবে উদ্বেগ তৈরি করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ