পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী-ওলামালীগ নেতৃবৃন্দ রোহিঙ্গাদের উপর বর্বর নির্যাতনের নিন্দা করে বলেছেন, স্বাধীন মুসলিম দেশ আরাকান ১৭৮৪ সালে তৎকালীন বার্মা দখল করে নেয়। আর ১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইনের সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখলের পর থেকে আরাকান রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ধর্মীয়, অর্থনৈতিক, সামরিক এবং রাজনৈতিকভাবে বিতাড়নের জন্য এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা হাতে নেয়। যার ধারাবাহিকতায় মুসলিম বিদ্বেষী বৌদ্ধ সুচির সামরিক সরকার আরাকানের মুসলমানদের উপর বহুমুখী নির্যাতন, গণহত্যাসহ ও অমানবিক আচরণ করে আসছে।
মিয়ানমারের লড়াইরত ‘কারেন’ বিদ্রোহীরা খ্রিস্টান হওয়ায় পশ্চিমাদের চাপে ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি তারিখে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়েছে। এর আগে গত ডিসেম্বরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শান রাজ্যে লড়াইরত আরেক বিদ্রোহী গোষ্ঠী শান স্টেট আর্মি-সাউথের সাথে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। অথচ নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমানরা নিরস্ত্র হওয়ার পরও তাদের উপর নির্মম গণহত্যা চালাচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
জাতিসংঘের রেজুলেশন অনুযায়ী মিয়ানমারের কসাইদের উপর গণহত্যার পুরোপুরি দায়ভার বর্তায়। কারণ ১৯৪৮ সালের ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত গণহত্যা সংক্রান্ত রেজুলেশনে বলা আছে : (রেজুলেশনের ২৬০ (৩) ধারার অনুচ্ছেদ ২)।
জাতিসংঘের রেজুলেশন অনুযায়ী মিয়ানমারের সামরিক কসাইরা উপরোক্ত সব অপরাধের চেয়েও বেশি অপরাধ করছে। তাই বাংলাদেশ সরকারকে ওআইসি’র দেশগুলোকে নিয়ে মিয়ানমারের কসাইদের বিরুদ্ধে গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করা, অবরোধ আরোপ করা, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করা, মিয়ানমার থেকে কূটনৈতিক প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া, ওআইসি’র পাশাপাশি জাতিসংঘ কর্তৃক মিয়ানমারে শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা, মিয়ানমারের উপর অবরোধ আরোপ করা, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও লেডি হিটলার সুচি’র উপর গণহত্যার অভিযোগ আনা, অনতিবিলম্বে ত্রাণ বরাদ্দ করা, রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব প্রদানে বাধ্য করার উদ্যোগ নিতে হবে এবং মিয়ানমার, কাশ্মীর, সিরিয়া, লিবিয়াসহ সারাবিশ্বের মুসলমানদের উপর নির্যাতন বন্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন, ওলামা লীগের কার্যকরী সভাপতি, আলহাজ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, আলহাজ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সাধারণ সম্পাদক- চেয়ারম্যান- সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ, আলহাজ্জ মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী- সভাপতি-বঙ্গবন্ধু ওলামা ফাউন্ডেশন, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, দপ্তর সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, মাওলানা মুজিবুর রহমান চিশতিসহ সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। মাওলানা হাবীবুল্লাহ রুপগঞ্জী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, হাফেজ মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী বাগেরহাটি সহ-সভাপতি প্রমুখ।
কর্মসূচি
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আগামী রোববার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে জাতিসংঘ কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।