মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের বিষয়ে কে কী ভাবছে? কারা সমালোচনা করছে? কোন মিডিয়ায় কী লেখা বা বলা হচ্ছে বেইজিংয়ের শি জিনপিং প্রশাসনের নামে? খোঁজ রাখতে এবার দুনিয়া জুড়ে গোপনে থানা খুলে ফেলেছে চীন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে লুকিয়ে চলা থানা থেকে প্রতিমূহূর্তে নজরদারি চলছে চীনের সমালোচনা করা যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার উপর। বিদেশে বসবাসকারী চীনারাও রয়েছেন এই ফুজহু পুলিশের রাডারে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, মূলত মানবাধিকার সংগঠনগুলির উপর নজর রাখাই এই পুলিশের কাজ। শুধু তাই নয়, এই ফুজহু পুলিশের মাধ্যমে বিদেশের ভোটে প্রভাব খাটাতে চাইছে বেইজিং। ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম রিপোর্টিকা নামে এক সংস্থা রিপোর্টে দুনিয়া জুড়ে শুরু হয়েছ হইচই। কানাডা এবং অ্যায়ারল্যান্ডে চীনের একাধিক থানার খোঁজ মিলেছে বলে দাবি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে। চীনের পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরো সরাসুরি এই থানাগুলি চালাচ্ছে বলে খবর।
কানাডার সংবাদ মাধ্যম সূত্রে দাবি, কানাডা জুড়ে এরকম একের পর এক গোপন চীনা থানার খোঁজ মিলেছে। কানাডায় চীনের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলছে কিনা, তার উপরে নজরদারি চালানোই, তদন্ত করাই এই থানার কাজ। টরেন্টো এবং সংলগ্ন এলাকায় ফুজহু পুলিশ এরকম প্রায় তিনটি থানা চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। চীনের পিএসবি’র নির্দেশে গোপনে কানাডার রোদের ঘটনার উপর নজর চালিয়ে যাচ্ছে ছদ্মবেশী চীনা গোয়েন্দা পুলিশ। সরাসরি তারা রিপোর্ট করছে বেইজিংয়ে।
শুধু কানাডা নয়। দুনিয়া জুড়ে ২১ টি দেশে প্রায় ৩০ টির বেশি থানা চালাচ্ছে পিএসবি’র চরেরা। ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম রিপোর্টিকা সূত্রে দাবি, এই বেআইনি পুলিশদের দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আভ্যন্তরিণ রাজনীতিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে বেইজিং। তাদের কট্টর সমালোচকরা যাতে কোনও ভাবে অন্য দেশে ক্ষমতায় না আসে, তার জন্য কলকাঠি নাড়ছে শি জিনপিংয়ের সরকার। ইউক্রেন, ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি এবং ব্রিটেনেও চীনের পিএসবি’র চরেরা এরকম থানা চালাচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম রিপোর্টিকা মতে, এই দেশগুলি থেকেই সব থেকে বেশি সমালোচনার মুখে পড়ে বেইজিং। চীনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও সব থেকে বেশি ওঠে এসব পশ্চিমা দেশগুলি থেকেই। সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।