Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউরোপ-এশিয়ার পর এবার আফ্রিকা, দুয়ারে কড়া নাড়ছে বিশ্বযুদ্ধ?

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:১৭ পিএম

রাশিয়া-ইউক্রেন, আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের পর এবার কি ইরিত্রিয়া-ইথিওপিয়া? ইউরোপ, এশিয়ার পর এবার যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে আফ্রিকা মহাদেশও? ধীরে ধীরে বিশ্বযুদ্ধ জড়িয়ে পড়ছে একের পর এক দেশ? ইথিওপিয়ার উত্তরে টিগরে এলাকায় সৈন্য সমাবেশের খবর সামনে আসতেই এই নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই অংশে ফের যুদ্ধ শুরু হলে তাতে জড়াতে পারে আফ্রিকার আরও কিছু দেশ। পাশাপাশি, আফ্রিকার এই বিবাদে নাক গলাতে পারে চীনও। কারণ এই মহাদেশে আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে ড্রাগনল্যান্ড। সেক্ষেত্রে চীনকে ঠেকাতে আসরে নামতে পারে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী রাষ্ট্রগুলি। পরিস্থিতি সেদিকে গড়ালে বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে বলেই ধারনা প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।

২০২০ থেকে ইথিওপিয়ার উত্তরের টিগরে এলাকায় গৃহযুদ্ধ চলছে। সেখানে ইরিত্রিয়ার সেনাবাহিনীর সাহায্য নিয়ে টিগরের বিদ্রোহীদের দমন করার চেষ্টা চালাচ্ছে ইথিওপিয়া। গত বছর সংঘর্ষ বিরতি জারি হওয়ার পর থেকে পাকাপাকিভাবে সমস্যা মিটবে বলে ধারনা করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি একটি উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, টিগরে সীমান্তে ইরিত্রিয়ার মধ্যে ঢুকে সেনা সমাবেশ করেছে ইথিওপিয়া। সেখানে ট্যাঙ্ক, কামান এবং এম-৪৬ ফিল্ড গান নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে ইথিওপিয়ার বাহিনীকে।

আর এই চিত্র সামনে আসতেই নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ওই এলাকায়। ইরিত্রিয়ার অভিযোগ, তাদের না জানিয়েই দেশের ভিতরে ঢুকে সেনা সমাবেশ করেছে ইথিওপিয়া। বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিদ্রোহীদের বেকায়দায় ফেলতেই ওই জায়গা বেছে নিয়েছে ইথিওপিয়ার বাহিনী। কিন্তু এই নিয়ে আপত্তি রয়েছে ইরিত্রিয়ার। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এক্ষেত্রে ইথিওপিয়ার বিরুদ্ধে যেতে পারে ইরিত্রিয়া। এমনকি দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। তার পর থেকে সাত মাস কেটে গেলেও ইউরোপের পূর্ব রণাঙ্গনে যুদ্ধ বন্ধ হয়নি। ২০২০-তে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে নাগরনোকারাবাখের দখল নিয়ে সীমান্ত সংঘর্ষ শুরু হয়। ওই বছর সংঘর্ষ বিরতি হলেও অশান্তি থামেনি। চলতি বছরে ফের দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ হয়েছে।

এছাড়া চীন-তাইওয়ান সমস্যা নিয়েও দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে চীন। এই আবহে গত মাসে মার্কিন নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভ’-র স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে যান। এর পরই তাইওয়ানের চার দিক দিয়ে ঘিরে সামরিক মহড়া চালায় চীন। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, যে কোনও মুহূর্ত দক্ষিণ চীন সাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্র আক্রমণ করতে পারে বেইজিং। সূত্র: রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ