গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে তিন ছাত্র আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কদমতলি থানাধীন বর্ণমালা স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন ইসলাম ভবন মার্কেটের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারি ও আহতরা সবাই বর্ণমালা স্কুলের ছাত্র। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা হামলাকারী ছাত্র সাব্বির ওরফে শাওনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আহতরা হলো মিরাজুল আবেদিন মিরাজ, আহাদ আলী এবং মেহেদি। তাদেরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে মিরাজের অবস্থা গুরুতর।
চিকিৎসাধীন ছাত্ররা জানায়, তারা সবাই বর্ণমালা স্কুল এন্ড কলেজের ১০ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত। গতকাল সকালে স্কুলের সামনের মার্কেটে আড্ডারত অবস্থায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির ওরফে শাওনের সাথে তাদের বচসা হয়। ঘটনাটি সকালেই মিটে যায়। কিন্তু গতকাল পরীক্ষা শেষে বিকেল ৩টার দিকে আহতরা সাই ইসলাম ভবন মার্কেটের সামনে বসে গল্প করছিলো। এ সময় সেখানে শাওন প্রবেশ প্রবেশ করে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই শাওন তাদের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। আহতদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে শাওনকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মিরাজের বুকে ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম হয়। এ ছাড়া মেহেদীর বাম হাতে এবং আহাদের পায়ে চুরির আঘাতে রক্তক্ষরণ হয়।এদিকে সেখানের স্থানীয় ব্যবসায়িরা অভিযোগ করে বলেন, ওখানের স্কুল শিক্ষার্থী কিছু বখাটের অত্যাচারে তারা অতিষ্ট। তারা মার্কেটের সামনে রাখা মালবহনের তিন চাকার ব্যানের ওপর বসে থাকে। কখনো কখনো প্রকাশ্যে মাদক সেবন করে। স্কুল ছাত্রী কিংবা মার্কেটে আাসা তরুনিদের দেখে কটুক্তিসহ নানা ধরনের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে। তাদের কিছু বলতে গেলেই হয়রানির শিকার হতে হয়।
এদিকে ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কদমতলি থানার ওসি ও র্যাব কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় কদমতলি থানায় মামলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।