পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও ১৮টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে নারী ৩০ জন, শিশু ২১ জন এবং পুরুষ ১৭ জন। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। যদিও নদীর বিভিন্ন অঞ্চলে মরদেহ ভেসে উঠতে শুরু করেছে। গতকাল দুপুরে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন মাড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপিত তথ্যকেন্দ্র থেকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
রেলপথমন্ত্রী আরও জানান, ট্রলারডুবির ঘটনাস্থলে হবে সেতু। ওয়াই মডেলের এই সেতু নির্মাণ শুরু হবে আগামী বছর। এরই মধ্যে নকশাসহ একনেকে পাস হয়েছে। সরকারের পক্ষে মৃত্যের প্রত্যেক পরিবারকে সৎকারের জন্য ২০ হাজার টাকা এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ২৫ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি জানান, সকল মরদেহ উদ্ধারের পর পরিবারগুলোর অবস্থা বিবেচনা করে কার জন্য কী করা যায়, সেটা বিবেচনায় নিয়ে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। নিখোঁজের যে তালিকা করা হয়েছে, সেখানের শেষ ব্যক্তি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে।
গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, নিখোঁজদের খুঁজে পেতে নদীর পাড়ে অপেক্ষায় রয়েছে অনেক পরিবার। তাঁদের চোখে স্বজন হারানোর অশ্রæ। অনেকে করছেন শোকের মাতম।
জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম জানান, বিভিন্নভাবে খোঁজ খবর নিয়ে যতদূর জানা গেছে, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া, ঘাট ইজারাদারের অবহেলা, মন্দির কমিটির নেতাদের অবহেলার কারণেই মূলত এই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। শৃঙ্খলা ও সাবধানতা অবলম্বন করা হলে এ দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাওয়া যেত।
জানা গেছে, পঞ্চগড় জেলা পরিষদের অধীন আউলিয়ারঘাট খেয়াঘাটটির ইজারা নিয়েছেন আব্দুল জব্বার নামে সাবেক একজন মেম্বার। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।