পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, যতো বড় শক্তিশালী হোক, রেলওয়ের সম্পদ বেআইনিভাবে ভোগ করতে দেবো না। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে সকালে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন চট্টগ্রাম, দোহাজারী, চকরিয়া ও কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন।
সুজন বলেন, ভূমিব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একটি কাঠামো তৈরি করেছি। গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়ার পর এটির আলোকে ভূমি লিজ দেওয়া হবে। দখলে থাকা ভূমি উদ্ধারে শক্ত হাতে নেমেছি। ২০১১ সালে আলাদা রেলমন্ত্রণালয় করার পর রেলকে সুশৃঙ্খল অবস্থায় ফেরানোর চেষ্টা চলছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের কাজে ৪৫ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে প্রকল্পটির কার্যক্রম একেবারে বন্ধ হয়নি। এখানে ব্রিজের কাজ ৯০ শতাংশের বেশি সম্পন্ন হয়েছে আর মাঠের কাজ প্রায় ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। সার্বিক অগ্রগতি ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ।
রেলমন্ত্রী সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন, রেলের সকল রুট মিটারগেজের পরিবর্তে ব্রডগেজে রুপান্তর করার। এ কারণে লাকসাম থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ডাবল লাইনের কাজ ২০২২ সালের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে লাকসাম পর্যন্ত রেললাইন ডুয়েলগেজে রুপান্তর করতে হবে। আখাউড়া থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেললাইনেও ডুয়েলগেজে রুপান্তর করতে হবে। এসব কাজ যদি সম্পন্ন হয় তাহলে মিটারগেজ এবং ব্রডগেজ ট্রেন আমরা চালাতে পারবো।
কক্সবাজার ব্যুরো জানায়, রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন এমপি বলেছেন. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারকে একটি পরিপূর্ণ আন্তর্জাতিকমানের পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েই কাজ করছেন। এজন্য দোহাজারী-কক্সবাজার ডুয়েলগেজ রেললাইন প্রকল্পের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।
শনিবার সকালে কক্সবাজারে ঝিলংজা হাজি পাড়ায় রেললাইন প্রকল্পের অধিগ্রহণকৃত চারজন ভূমি-মালিকদের মাঝে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণকালে মন্ত্রী একথা বলেন।
পরে দোহাজারী-কক্সবাজার ডুয়েলগেজ রেললাইন প্রকল্পের কক্সবাজার প্রান্তে ঝিলংজা হাজি পাড়া, রামু ফতেখাঁরকুলসহ বিভিন্ন স্থানে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন তিনি। পরিদর্শনকালে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা থেকে কক্সবাজার রেল চলাচল শুরু হলে দেশের পর্যটন শিল্পে ও অর্থনৈতিক খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে।
এ সময় প্রকল্প পরিচালক মো. মফিজুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আশরাফুল আফসার, রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা শামীম হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ মাহমুদউল্লাহ মারুফ, রেলওয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাসহ প্রকল্প ও ভূমি অধিগ্রহণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।