গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ইডেন কলেজে মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের নেত্রীদের হাতে ছাত্রীদের যৌন হেনস্তা, হুমকি, সিট বাণিজ্য ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এ সমাবেশ করে সংগঠনটি। সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার সভাপতি আখতার হোসেন বলেন, সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদেরকে জিম্মি করে তাদেরকে দাসে পরিণত করেছে। ইডেন কলেজের বর্তমান এই পরিস্থিতির জন্য ছাত্রলীগ দায়ী। সাধারণ শিক্ষার্থীদের জোর করে হেনস্তা ও যৌন নির্যাতন করছে ছাত্রলীগের নেত্রীরা। এই ভয়ানক সত্যটা তাদের নিজেদের মধ্য থেকেই গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। তাদের চাঁদাবাজি থেকে রেহাই পায়নি সাধারণ শিক্ষার্থীরাও। টাকার বিনিময়ে তাদেরকে সিট দেওয়া হয়। শুধুমাত্র কমিটি স্থগিত করে এই দায়মুক্তির চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে ইডেন কলেজ নিয়ে যে নোংরা প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানো হচ্ছে, এই প্রোপাগাণ্ডায় ইডেন কলেজের কোনো নিরীহ শিক্ষার্থীর চুল পরিমাণ দায় নেই। দায় যাদের তারা ছাত্রলীগ। আমরা বলতে চাই ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ যারা জড়িত এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যাদের মদদে এসব অপকর্ম হয় তাদের অতিসত্ত্বর আইনের আওতায় আনতে হবে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ইডেন কলেজের যে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এ দায় ছাত্রলীগের। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের কলেজ থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং আইনের আওতায় আনতে হবে।
সমাবেশে যোগ দিয়ে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের বিভিন্ন অপকর্মের কথা তুলে ধরেন নুসরাত কেয়া নামে ইডেনের এক শিক্ষার্থী। এসময় তিনি বলেন, আমি নিজেও থাকার কোনো জায়গা না পাওয়ায় ১২ হাজার টাকা দিয়ে সিটে উঠি। কিন্তু থাকার কোনো পরিবেশ নেই। সেখানে ছাত্রীদের চড়, থাপ্পড়, চুল ধরে টানার পাশাপাশি বটি দিয়েও নির্যাতন করা হয়। শিক্ষার্থীদের খারাপ ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। নেত্রীরা নিজেরাও যায় আবার সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও বিভিন্ন নেতাদের বাসায় পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, তারা শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের থেকে চাঁদাবাজি করে এমন নয়, তারা ক্যান্টিনের মালিক-কর্মচারী এবং ইডেনের সামনে যেসব দোকান বসে সেসব থেকেও চাঁদাবাজি করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাহিত্য সম্পাদক জাহিদ আহসানের সঞ্চালনায় এসময় কেন্দ্রীয়, ঢাবি ও বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ শেষে ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ইডেন কলেজ পর্যন্ত একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।