মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিলকিস বানুর ধর্ষকদের সাজা মওকুব করে দেয়ার সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে। এবার সেই আবেদনের বিরোধতা করে আদালতের দ্বারস্থ হলেন ধর্ষকরা। তাদের দাবি, যারা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছে, তাদের কেউই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বা প্রভাবিত নন। তাহলে কেন আদালতের কাছে তারা এই মামলা নিয়ে আবেদন জানাচ্ছেন। এমন পদক্ষেপের ফলে আদালতের স্থিতিশীলতায় ক্ষতি হবে বলেই জানিয়েছে ধর্ষকরা।
আদালতের কাছে আবেদন জানিয়ে রাধে শ্যাম নামে এক ধর্ষক বলেছে, “যারা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছেন, তারা কেউই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। পেশাগত ভাবে তারা সকলেই রাজনীতিবিদ।” তাদের আবেদন আদৌ গ্রহণযোগ্য কিনা, সেই প্রশ্ন তুলে রাধে শ্যামের পিটিশনে বলা হয়েছে, আদালত যদি এইরকম আবেদনগুলি গ্রহণ করতে থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষ যেকোনও মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চাইবে। আদালতের কাজে হস্তক্ষেপ করার অধিকারও দেওয়া হবে।”
শুধু তাই নয়, সাধারণ মানুষের এমন আবেদনের ফলে আইন ব্যবস্থার স্থিতিশীলতায় ব্যাঘাত ঘটবে বলেও জানিয়েছে রাধেশ্যাম। তার পিটিশনে বলা হয়েছে, “আবেদন কারীদের যথেষ্ট সম্মান করি আমি। কিন্তু তাদের মতো তৃতীয় পক্ষকে যদি মামলায় হস্তক্ষেপের অধিকার দেওয়া হয়, তাহলে আইনের অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যাবে। তারপরে সাধারণ মানুষ যখন খুশি যেকোনও মামলায় নিজেদের মতামত ব্যক্ত করতে চাইবে।”
কিছুদিন আগেই বিলকিস বানু গণধর্ষণকাণ্ডে দোষীদের জেল থেকে মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার। তারপর থেকেই ভারতজুড়ে সাধারণ মানুষ দাবি করেন, এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। সেই দাবি মেনেই সুপ্রিম কোর্টও গুজরাট সরকারের কাছে মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র চেয়ে পাঠায়। ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতেও নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তার মধ্যেই এমন দাবি তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ধর্ষকরা। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।