Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১৭ বছর আগে করা সেই ভুলের কথা স্বীকার করলেন শহিদ আফ্রিদি ! সায় ছিল মালিকের

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:৪২ পিএম

অবশেষে দীর্ঘ ১৭ বছর পর একটি ম্যাচে পিচ টেম্পারিংয়ের কথা অপকটে স্বীকার করলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বুমবুম শহিদ আফ্রিদি। তিনি বলেন, ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফয়সালাবাদ টেস্টের দ্বিতীয় দিন পিচ টেম্পারিং করেছিলেন। তবে ঐ টেম্পারিংয়ে সায় সাহস যুগিয়েছিলেন তার সতীর্থ দলের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিক।

আফ্রিদি বলেন, ফয়সালাবাদ টেস্টে পিচ টেম্পারিং করেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে, ভুল করেছিলাম। সতীর্থ মালিক পিচ টেম্পারিং করতে সাহস দিয়েছিলো। তিন ম্যাচ সিরিজে ২০০৫ সালের ২০ নভেম্বর ফয়সালাবাদে দ্বিতীয় টেস্ট খেরতে নামে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড।

টেস্টের দ্বিতীয় দিনে পিচ টেম্পারিং করেন আফ্রিদি। এই নিকৃষ্ট কাজের জড়িত ছিলেন মালিকও। আফ্রিদির দাবী এ অন্যায় কাজে তাকে উস্কে দেন মালিক। সামা টিভির এক অনুষ্ঠানে ঐ পিচ টেম্পারিং নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘ফয়সালাবাদের ঐ ম্যাচে বল টার্ন করছিল না, এমনকি সুইংও করছিল না। খুব অসহ্য লাগছিল। আমরা পুরো শক্তি নিয়ে খেলেও, প্রতিপক্ষের উইকেট ফেলতে পারছিলাম না। হঠাৎ করেই মাঠের বাইরে একটা সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণ হয়। তখন সবার মনোযোগ ছিলো ঐ বিস্ফোরণে। আমি তখন মালিককে বললাম, আমার ই”ছা করছে, পিচে পাড়া দিয়ে গর্ত করে দিই। আমি চাই বল টার্ন করুক।’

তার প্রস্তাবে মালিক সায় দেন জানিয়ে আফ্রিদি বলেন বলেন, ‘শোয়েব বলেছিল, গর্ত করে দাও। কেউ দেখছে না। তারপর আমি পিচ টেম্পারিং করি। এরপর হলো ইতিহাস।’

১৭ বছর পর এসে সেই ভুল বুঝতে পেরে নিজের কৃত-কর্মের এখন অনুতপ্ত আফ্রিদ, ‘এখন যখন পেছন ফিরে তাকাই, বুঝতে পারি, ভুল করেছি সেদিন।’

পিচ টেম্পারিংয়ের শাস্তি হিসেবে ঐ সময় আইসিসি একটি টেস্ট ও দু’টি ওয়ানডেতে আফ্রিদিকে নিষিদ্ধ করেছিল।

ফয়সালাবাদের ঐ টেস্টটি শেষ পর্যন্ত ড্র হয়। প্রথম ইনিংসে অধিনায়ক ইনজামাম উল হকের ১০৯ রানের সুবাদে ৪৬২ করেছিলো পাকিস্তান। পরে ৪৪৬ রান করে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেটে ২৬৮ রান তুলে পাকিস্তান। এতে ২৮৫ রানের টার্গেট পায় ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ইংলিশরা ৬ উইকেটে ১৬৪ রান করার পর পঞ্চম দিনের খেলা শেষ হয়।

ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ৮৫ বলে ৯২ ও দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য হাতে ফিরেন আফ্রিদি। বল হাতে প্রথম ইনিংসে ৪টি ও দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট শূন্য ছিলেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ