মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ কমিটিকে গুমের প্রায় সব অভিযোগের তথ্য দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি নিখোঁজ বলে জানানো হলে স্বজনদের দেওয়া তথ্য আইন অনুযায়ী যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে সরকার ভুক্তভোগীকে উদ্ধারে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ-ও বলা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে গুমের শিকার বলে ধারণা করা ব্যক্তি ফেরত এসে প্রমাণ করেছেন, গুমের অভিযোগ ঠিক নয়।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় চলমান মানবাধিকার পরিষদের ৫১তম অধিবেশনে গত মঙ্গলবার সকালে গুমবিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটি ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সের সর্বসাম্প্রতিক প্রতিবেদন পেশের পর তা নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এমন বক্তব্য দেওয়া হয়। জেনেভায় জাতিসংঘের দফতরে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির পক্ষ থেকে গুমের অভিযোগ সম্পর্কে সরকারের অবস্থান তুলে ধরা হয়। স্থায়ী প্রতিনিধির পক্ষে বক্তব্য দেন জেনেভায় বাংলাদেশ মিশনের দ্বিতীয় সচিব আবদুল্লাহ আল ফরহাদ।
ওই অধিবেশনে বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে এশিয়ান লিগ্যাল রিসোর্সেস সেন্টারের পক্ষ থেকে গুমের বিষয়ে বিভিন্ন দেশের সরকারগুলোর ভূমিকায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এসময় বলা হয়, গত মাসে জাতিসংঘের সাবেক মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেতের ঢাকা সফরের পর গুমের শিকার পরিবারগুলোকে সরকার ভয় দেখাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার আরো দুটি দেশ শ্রীলঙ্কা ও ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সংগঠনটির প্রতিনিধি মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, মানবাধিকার কর্মী ও প্রবাসী সাংবাদিকদের স্বজনদের দেশে হয়রানি করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের গুমবিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটি মানবাধিকার পরিষদে গত মঙ্গলবার যে প্রতিবেদন পেশ করেছে, তাতে দেখা যায়, বাংলাদেশে গুমের অভিযোগ বেড়েছে। গত বছরের ২২ মে থেকে এ বছরের ১৩ মে পর্যন্ত এক বছরে কমিটির কাছে আসা বাংলাদেশে গুমের অভিযোগের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৮, যা আগে ছিল ৭৬।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সময়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষজ্ঞ কমিটিকে আটজনের বিষয়ে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক তথ্য দেওয়া হয়েছে। এখনো ৮১ জনের গুমের অভিযোগের কোনো সুরাহা হয়নি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
যদিও বাংলাদেশ সরকার অধিকাংশ অভিযোগের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটিকে কী তথ্য দিয়েছে তা জানা যায়নি। আর যে আটটি অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ‘উল্লেখযোগ্যসংখ্যক তথ্য’ দিয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে, তার সবকটি যথাযথ কি না, সে বিষয়েও কিছু জানা যায়নি।
জাতিসংঘের গুমবিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটির ১২৮তম সভা গত সোমবার শুরু হয়েছে এবং তা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলার কথা। রুদ্ধদ্বার ওই সভায় বাংলাদেশসহ ২১টি দেশের প্রায় ৭০০ অভিযোগ পর্যালোচনার কথা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।