Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী ঐক্য জোরদারে ৭ আদিবাসী সংগঠনের বৈঠক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৮:৪৬ পিএম

মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী ঐক্য জোরদার করতে একসঙ্গে বৈঠকে বসেছিল দেশটির ৭টি আদিবাসী সশস্ত্র সংগঠন। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশটির ওয়া রাজ্যের পাংঘশাংয়ে ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মির (ইউডব্লিউএসএ) প্রধান কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে যোগ দেওয়া ওই সাতটি সশস্ত্র সংগঠন হলো- ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মির (ইউডব্লিউএসএ), আরাকান আর্মি (এএ), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এনডিএএ), শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টি (এসএসপিপি), তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি, মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মির (এমএনডিএএ) এবং কাচিন ইন্ডিপেনডেন্ট আর্মি (কেআইএ)। প্রথম ছয়টি সংগঠনের প্রধান সারির নেতারা বৈঠকে যোগ দেন। শুধু কাচিন ইন্ডিপেনডেন্ট আর্মি বৈঠকের ভোজসভায় তাদের প্রতিনিধি দল পাঠায়। সংগঠনটি মূল বৈঠকে অংশ নেয়নি।
আরাকান আর্মির ডেপুটি কমান্ডার ইন চিফ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নায়ো তুন অং জানিয়েছেন, এই সাত সংগঠনের রাজনৈতিক জোট ফেডারেল পলিটিক্যাল নেগোসিয়েশনাল অ্যান্ড কনস্যুলেটিভ কমিটি কোভিড–১৯ মহামারি শুরুর পর এই প্রথম বৈঠকে মিলিত হলো।
এক সংবাদ সম্মেলনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নায়ো তুন অং বলেন, ‘ফেডারেল পলিটিক্যাল নেগোসিয়েশনাল অ্যান্ড কনস্যুলেটিভ কমিটির সদস্যরা প্রয়োজনের তাগিদেই বৈঠকে বসেছিলেন। এই বৈঠক মূলত আদিবাসী সশস্ত্র সংগঠনগুলোর ঐক্য আরও জোরদার করতেই আয়োজন করা হয়েছিল।’
নায়ো তুন অং আরও বলেন, ‘পাংঘশাংয়ে এএ-এর কার্যালয়ে আমিই দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং একই সঙ্গে আমি ফেডারেল পলিটিক্যাল নেগোসিয়েশনাল অ্যান্ড কনস্যুলেটিভ কমিটির সচিবও। আমরা পাংঘশাংয়ে ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মির সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা আরও গভীর করতেই বৈঠকে বসেছিলাম। এ ছাড়া, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যা ঘটছে সেই বিষয়ে মত বিনিময় এবং আর কোন কোন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা যায় সেই খাতগুলো চিহ্নিত করতেই এই বৈঠক।’
উল্লেখ্য, ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মি (ইউডব্লিউএসএ) মিয়ানমারের আদিবাসী সশস্ত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী সংগঠন। সংগঠনটি নিজেদের অঞ্চল বলে খ্যাত ওয়া রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছেই রেখেছে। ধারণা করা হয়, এই সংগঠনটির অন্তত ৩০ হাজার সৈন্য এবং অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে। একই সঙ্গে মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশ চীনের সঙ্গেও এই গোষ্ঠীর ভালো সম্পর্ক রয়েছে।



 

Show all comments
  • jack ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:০১ পিএম says : 0
    আমাদের এখনই সময় মায়ানমার কে আক্রমণ করা না হলে ওরা আমাদেরকে আক্রমণ করে আমাদের দেশটাকে ধ্বংস করে ফেলবে ওরা তো আসলেই আমাদের দেশটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে 12 লক্ষ রোহিঙ্গা আমাদের দেশের মধ্যে ঢুকিয়ে দেশদ্রোহী সরকার আমাদের দেশটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ