পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের দেওয়া নোটিশের জবাব দিতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে দুদক কার্যালয়ে আসেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম। এমপিকে টানা আড়াই ঘণ্টা ও স্ত্রী সন্তানদের চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের কর্মকর্তারা। গতকাল মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে কক্সবাজার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দীন এ জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
গত ২৪ আগস্ট দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন তাদের আলাদা চিঠি পাঠান। চিঠিতে এমপি জাফর আলম, তার স্ত্রী শাহেদা বেগম, ছেলে তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী তুহিন ও মেয়ে তানিয়া আফরিনকে ৪ সেপ্টেম্বর দুদক কক্সবাজার কার্যালয়ে হাজির হয়ে সম্পদের হিসাব দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু দলীয় কর্মসূচি থাকায় ৩ সেপ্টেম্বর সময় চেয়ে দুদকে চিঠি দিয়ে সময় চেয়ে আবেদন করেন এমপি জাফর। সেই আবেদনে তারা গতকাল মঙ্গলবার দুদক কার্যালয়ে আসেন তারা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদক কার্যালয় থেকে বের হয়ে দ্রুত গাড়িতে উঠে পড়েন এমপি। তিনি কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হয়নি। তবে ‘শাক দিয়ে কখনো মাছ ঢাকা যায় না’এই বাক্য বলেছেন শুধু। দুদকের নোটিশে বলা হয়, এমপি জাফর আলমের ক্ষমতা ও প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে স্ত্রী শাহেদা বেগম সরকারি জমি, চিংড়ি ঘের, জলমহাল দখল, মাদক কারবার, চাঁদাবাজি এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ। নোটিশে জাফর আলমের স্ত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হলেও দীর্ঘদিন কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
তবে জাফর আলম তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে স্ত্রী ও সন্তানদের সম্পদের অনুসন্ধানকে ‘চিহ্নিত মহলের ষড়যন্ত্র’ দাবি করে বলেন, দুদকের তদন্তে তার পরিবার পূর্ণ সহযোগিতা করবে। এর আগে, গত ২১ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক খান মো. মাজানুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক স্মারকে এমপি জাফর আলমের স্ত্রী শাহেদা বেগমের সম্পদ তদন্তের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনকে এমপি জাফর আলম ও তার পরিবারের সম্পদের তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। তবে জাফর আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে গতকাল কক্সবাজার দুদক কর্মকর্তা সরাসরি কোনো বক্তব্য দেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।